মালদহ: পুনর্নির্বাচনের সুযোগ দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কিন্তু গ্রামবাসীও অনড়। কাজ হয়নি গ্রামে, তাই ভোটও বয়কটই থাকবে। শনিবারের পরও তাই সোমবার একটি ভোটও পড়ল না মালদহের গাজোলের রানিগঞ্জ-২ গ্রাম পঞ্চায়েতে। এখানকার দোগাছি শিশু শিক্ষা নিকেতনের ২৪৪ নম্বর বুথ। সেই বুথ দখল নিলেন গ্রামের মানুষ। ডিউটি করতে এসেছিলেন যে প্রিসাইডিং অফিসার, তাঁকে রীতিমতো বের করে দেওয়া হয় বুথের বাইরে। একই অবস্থা হয় অন্যান্য ভোটকর্মীদের। বুথের বাইরে ঠায় দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয়বাহিনীর জওয়ানরাও।
ওদিকে তখন মাদল বাজছে দ্রিমি দ্রিমি বোলে। সেই বোলে যেন পুঞ্জিত ক্ষোভের স্ফূরণ, ‘রাস্তা হয়নি, ভোটও দেব না।’ মাদল বাজিয়ে, ঝাঁটা হাতে বিক্ষোভ দেখিয়ে এদিনও ভোট বয়কট ঘোষণা গ্রামবাসীর। দোগাছি শিশু শিক্ষা নিকেতনের ২৪৪ নম্বর বুথে এদিন পুনর্নির্বাচন ছিল। একটি ভোটও পড়েনি এদিন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, গ্রামে রাস্তা নেই। মুখ্যমন্ত্রী ২০১৭ সালে রাস্তার শিলান্যাস করেছিলেন। এরপর আজও সেই রাস্তা হয়নি। বহুবার দাবি জানিয়েও কাজ হয়নি বলে দাবি তাঁদের। তাই এবার ভোট বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান।
প্রশাসনিক আধিকারিকরা গিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন। তবে নিজেদের অবস্থান থেকে এক চুলও সরেননি তাঁরা। সকাল সকালই দলে দলে গ্রামের লোক এসে হাজির হন বুথে। এরপরই দখল নেন বুথ। এলাকার এক মহিলা অনিতা টুডু বলেন, “গ্রামে রাস্তাটা পর্যন্ত নেই। বাচ্চারা স্কুল যেতে পারে না, প্রসূতিদের হাসপাতালে যেতে দুর্ভোগের শেষ নেই। তাই যতক্ষণ রাস্তা পাব না, ভোটও আমরা দেব না, কাউকে দিতেও দেব না। ভোট কর্মীরা এসেছিলেন। আমরা তাড়িয়ে দিয়েছি।”