মালদহ: মালদহর কালিয়াচক থানার আইসি-কে সরানোর নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, বিরোধী বিশেষ করে জোট প্রার্থীদের হুমকি দিয়েছেন আইসি উদয়শঙ্কর ঘোষ। এই অভিযোগ তুলে আইসি উদয়শঙ্করের বিরুদ্ধে আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করেন দক্ষিণ মালদহর সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী।
আইসির বিরুদ্ধে ভোটারদের প্রভাবিত করারও অভিযোগ ছিল। তবে তিনি শুধু প্রভাবিত করেছেন, তেমনটা নয়, তিনি বিরোধী প্রার্থীদের হুমকি দিতেন বলেও অভিযোগ ওঠে। সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী এই মর্মে কলকাতা হাইকোর্টে রিট পিটিশন দেন। তিনি বারবার এই বিষয়টি নিয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তাঁর ছেলে ইশা খান চৌধুরী এবছর পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন। তিনিও বারবার অভিযোগ করেছেন, বিরোধী প্রার্থীদের ভয় দেখানো হচ্ছে। এক্ষেত্রে শাসকদল পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করছে।
ইশা খান চৌধুরী আরও অভিযোগ করেন, পুলিশই সিভিক ভলান্টিয়রদের বাড়িতে হুমকি দিচ্ছে। ভোটারদের ভোট দিতে যেতে মানা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। TV9 বাংলায় সে খবর সম্প্রচারিত হয়। বিশেষ করে জোট প্রার্থীদের হোয়াটসঅ্যাপ কল করে বসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন জোট প্রার্থী বাড়ি থেকে পালিয়ে গোপন ডেরায় আস্তানা করেছেন। সেখান থেকেই কেউ কেউ সংবাদমাধ্যমকে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। কালিয়াচক থানার আইসি-র বিরুদ্ধে বারবার পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করেছে কংগ্রেস। কিন্তু তাতে কাজ না হওয়ায় আদালতের দ্বারস্থ হন কংগ্রেস নেতৃত্ব। আদালত ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আইসিকে সরানোর নির্দেশ দেয়।
এর আগেও এই আইসি উদয়শঙ্করের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিতে দেখা গিয়েছে আদালতকে। সম্প্রতি কালিয়াচকের এক গ্রামে একই পরিবারের ২ ভাই ও তাঁর স্ত্রী-সন্তানদের জোর করে ধর্মান্তরণের অভিযোগ ওঠে। থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে আবার অভিযোগকারীদের ওপরেই চাপ সৃষ্টি করার অভিযোগ ওঠে আইসি উদয়শঙ্করের বিরুদ্ধে। জল গড়ায় হাইকোর্টে। আদালত, ধর্মান্তরণ মামলায় সিবিআই ও এনআইএ-কে দিয়ে যৌথ ভাবে তদন্ত করানোর নির্দেশ দেয়। যদিও সেক্ষেত্রে কালিয়াচক থানার আইসি উদয়শঙ্করের বক্তব্য ছিল, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত বক্তব্য মিথ্যা।