Malda: বন্ধ ঘরে মুখে ব্লাউজ গুঁজে, হাত-পা বেঁধে স্বামীর সঙ্গে ‘অদ্ভুত আচরণ’ সদ্য বিবাহিতা স্ত্রী-র

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Jun 07, 2022 | 5:56 PM

Malda: মালদার বাসিন্দা আয়াতুল শেখের সঙ্গে দু'মাস আগে বিয়ে আসমিরা খাতুনের।

Malda: বন্ধ ঘরে মুখে ব্লাউজ গুঁজে, হাত-পা বেঁধে স্বামীর সঙ্গে অদ্ভুত আচরণ সদ্য বিবাহিতা স্ত্রী-র
ডানদিকে স্বামী, বাঁদিকে স্ত্রী (নিজস্ব ছবি)

Follow Us

মালদা: কাজ থেকে বাড়ি ফিরলে খেতে দিতেন স্ত্রী, খাবার খাওয়ার পরই কেমন ঝিমুনি ভাব! প্রথমটা বুঝে উঠতে পারেননি। কিন্তু পরে ধীরে-ধীরে খোলসা হয় গোটা ব্যাপারটা। স্বামীকে মাদক খাইয়ে, হাত-পা-মুখ বেঁধে অত্যাচার সদ্য বিবাহিতা স্ত্রীর বিরুদ্ধে। পরে যুবকের গোঙানির শব্দে পরিবারের সদস্যরা দরজা ভেঙে তাঁকে উদ্ধার করে। এরপরই উত্তেজিত জনতা নববধূকে গণপিটুনি দিতে উদ্যত হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদার রাহুত গ্রামের বাসিন্দা আয়াতুল শেখের সঙ্গে দু’মাস আগে বিয়ে হয় ইংরেজবাজারের নরহাটটা গ্রাম পঞ্চায়েতের সাতঘরিয়া গ্রামের বাসিন্দা আসমিরা খাতুনের।কিছুদিন আগে ভিন রাজ্য থেকে কাজ করে পুরাতন মালদার মহিষবাথানি গ্রাম পঞ্চায়েতের রাউত গ্রামের নিজের বাড়িতে ফিরে আয়াতুল শেখ।  আর তারপরই আচমকাই স্ত্রীর এমন নির্যাতনের শিকার হন তিনি বলে অভিযোগ।

জানা গিয়েছে, আয়াতুলকে মাদক খাইয়ে হাত, পা মুখ বেঁধে অত্যাচার এবং খুনের চেষ্টা করে আসমিরা। পরে ছেলের গোঙানির শব্দ পাশের ঘর থেকে শুনতে পেয়ে ছুটে আসে বৃদ্ধা বাবা-মা। দরজা ভেঙে উদ্ধার করে তাঁকে। এরপরই হইচই শুনে ঘটনাস্থলে ভিড় করেন পাড়া-প্রতিবেশীরা। স্বামীকে নির্যাতন এবং খুন করার চেষ্টার ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই নববধূকে গণপিটুনি দেওয়া উদ্যত হয় তাঁরা। সেই সময় প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের হস্তক্ষেপে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ওই নববধূকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

পুলিশকে অভিযোগে নির্যাতিত যুবক আয়াতুল শেখ জানিয়েছেন,  এক সপ্তাহ হল আমি ভিন রাজ্য থেকে বাড়ি ফিরেছি । সব সময় আমাকে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হত। খাবারের সঙ্গে মাদকজাতীয় কিছু খাইয়ে দেওয়া হত। সবসময় বাড়িতেই ঝিম মেরে বসে থাকতাম । নতুন বিয়ে হয়েছে আমাদের। আজমিরাকে আমি এ ব্যাপারে অনেক জিজ্ঞাসা করেছিলাম । কিন্তু কিছু উত্তর দেয়নি সে। সোমবার রাতে হঠাৎ করে আমাকে ওর ব্লাউজ দিয়ে মুখ বাঁধে। তারপর হাত, পা, বেঁধে ওর মোবাইল ফোন থেকে ফোন করে কাউকে। তারপর আমাকে খুন করার কথা বলতে থাকে। সমস্ত ভিডিওটা আমার মোবাইল থেকে করা হয়। আমার গোঙানির শব্দ শুনে পাশের ঘর থেকে বৃদ্ধ বাবা-মা ছুটে আসে। তারপর চিৎকার-চেঁচামেচিতে পাড়া-প্রতিবেশীরা এসে আমাকে উদ্ধার করে। নইলে হয়তো আমাকে আজমিরা খুন করে ফেলত।’

মহিষবাথানি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান গুমানি শেখ জানিয়েছেন, ঘটনাটি শুনে হতবাক হয়ে গিয়েছি। স্বামী তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের শিকার এবং খুনের চেষ্টার অভিযোগ তুলেছে।

পুরাতন মালদা থানার পুলিশ জানিয়েছে,  প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে ওই মহিলাটি মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়ে থাকতে পারে। নতুবা বিবাহ বহির্ভূত কোনও কারণ থাকতে পারে। নইলে এমন ভাবে কেউ নিজের স্বামীকে নির্যাতন করতে পারে না।

 

Next Article