মালদা: রোজই বাড়িতে অপরিচিত ছেলেমেয়েগুলো আসত। প্রতিবেশীরা বাড়ি মালিককে প্রশ্নও করতেন। কোনও সময়ে বলতেন আত্মীয়, কখনও আবার প্রশ্ন এড়িয়ে যেতেন। বিষয়টা ভাল ঠেকছিল না প্রতিবেশীদের। তাঁরা নজর রেখেছিলেন। কিছুটা আঁচ করতে পারলেও হাতেনাতে ধরতে পারছিলেন না তাঁরা। পুলিশ হানা দিতেই পর্দাফাঁস। মধুচক্র চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার মোট চার জন। তার মধ্যে একজন মহিলা।
মালদার চাঁচলে একটি বাড়িতে মধুচক্রের আসর বসত বলে জানা গিয়েছে। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, ওই বাড়িতে প্রায় প্রত্যেক দিনই নতুন নতুন ছেলেমেয়ে আসত। তাঁদের অনেকেই মাঝবয়সী। বাড়িটির মালিক কখনই এই বিষয়টি নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলতেন না। তাঁর কথাবার্তাতেও অসঙ্গতি ছিল।
সন্দেহ হওয়ায় চাঁচল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন প্রতিবেশীরা। অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার চাঁচল থানার পুলিশ অভিযান চালায় ওই বাড়িতে। দুই অপরিচিত যুবক ও বাড়ির মালিককে গ্রেফতার করে। এক মহিলাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে দুই যুবতীকেও।
মঙ্গলবার দুই যুবক ও ওই মহিলাকে চাঁচল মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের পরিচয় গোপন রেখেছে পুলিশ। টাকার বিনিময়ে বাড়ির মালিক এমন চক্র চালাচ্ছিল বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান।
এক প্রতিবেশী বলেন, “আমাদের মাঝেমধ্যে সন্দেহ হতই। রোজ নতুন নতুন ছেলেমেয়ে আসত বাড়িতে। কী ব্যাপার বুঝতামই না। অনেকেই বলত ভুলভাল কিছু হয়। সবারই মনে সন্দেহ ছিল। কিন্তু আমাদের পক্ষে তো হাতেনাতে ধরা সম্ভব ছিল না। পাড়া প্রতিবেশীদের কাউকেই ওই বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হত না। পাড়ারই লোক তারপর পুলিশে গিয়ে খবর দেয়। পুলিশ তল্লাশি চালাতেই পর্দা ফাঁস।”
আরও এক প্রতিবেশী বলেন, “পাড়ার মধ্যেই এসব ঘটছিল, আমরা তো ভাবতেও পারিনা। বউ-বাচ্চা, বাবা-মায়েদের নিয়ে বসবাস করি। এসব পাড়ার মধ্যে ঘটলে কী বলব!”