Malda: ‘হলুদ আর নুন দিয়ে খিচুড়ি, নেই মশলা, কেউ খেতে পারে?’, মিড ডে মিলের খাবার নিয়ে আবার অভিযোগ

Subhotosh Bhattacharya | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Jul 27, 2024 | 7:24 PM

Malda: অঙ্গনওয়াড়ি ওই কেন্দ্রে কাজ করেন জবা দাস নামে এক কর্মী। অভিভাবকদের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। কেন্দ্র থেকে নাকি শিশুদের ভাল মানের খাবার দেওয়া হয় না। কেন্দ্রে কর্মী আসার নিদির্ষ্ট কোনও সময় নেই। প্রায়ই দেরি করে যান তাঁরা। বেশিরভাগ দিনই খাবার পায় না শিশুরা।

Malda: হলুদ আর নুন দিয়ে খিচুড়ি, নেই মশলা, কেউ খেতে পারে?, মিড ডে মিলের খাবার নিয়ে আবার অভিযোগ
মিড ডে মিলের দশা
Image Credit source: Tv9 Bangla

Follow Us

মালদহ: মিড ডে মিল নিয়ে তো ভূরি-ভূরি অভিযোগ বরাবরের। রান্নায় কখনও সাপ-ব্যাঙ, টিকটিকি, পোকা ইত্যাদি-প্রভৃতি মেলার অভিযোগ ওঠে। এবার পড়ুয়াদের দাবি মেলে না ডিম। মাঝে মধ্যেই বন্ধ থাকে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে। যার জেরে এবার বিক্ষোভ দেখালেন পড়ুয়ারা। মালদহের হরিশচন্দ্রপুরের ছত্রক গ্রামের ঘটনা।

অঙ্গনওয়াড়ি ওই কেন্দ্রে কাজ করেন জবা দাস নামে এক কর্মী। অভিভাবকদের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। কেন্দ্র থেকে নাকি শিশুদের ভাল মানের খাবার দেওয়া হয় না। কেন্দ্রে কর্মী আসার নিদির্ষ্ট কোনও সময় নেই। প্রায়ই দেরি করে যান তাঁরা। বেশিরভাগ দিনই খাবার পায় না শিশুরা। কর্মীদেরকে বলতে গেলে তিনি কোনও ভ্রূক্ষেপ করেন না। উল্টে নোংরা ভাষায় গালিগালাজ করেন। বাড়ি থেকে কাপড়ের পুঁটলিতে চাল, ডাল ও সবজি বেঁধে নিয়ে আসেন সেন্টারে। তিন দিন ভাত ও তিন দিন খিচুড়ি দেওয়ার নিয়ম থাকলেও মাসে দুই থেকে তিনদিন ভাত দেন। বাকি সব দিন খিচুড়ি দেওয়া হয়। খিচুড়ি শুধু লবণ ও হলুদ দিয়ে রান্না করা হয়। যা শিশুরা কখনো মুখে তুলতে পারে না। মাসের বেশিরভাগ সময় সেন্টার বন্ধ রাখা হয়। সেন্টারের কর্মীর বদলের দাবি তুলে সরব হন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় এক মহিলা বলেন, “সেন্টারের চার্ট থাকার কথা। সেখানে যা খাবার দেওয়া হয় মুখে তোলা যায় না। সঠিক সময়ে আসে না। কিছু করে না। অল্প খাবার নিয়ে আসে।”

অভিযুক্ত মহিলা নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি বলেছি তিন বছরের বাচ্চারা আমার স্কুলে থাকবে। আমি বিনামূল্যে স্কুল করব। হেলপার রান্না করব। আমি এটা বলেছি। ওরা শুনছে না। বাকি যা যা বলছে সব মিথ্যা কথা।”

 

 

Next Article