Malda molestation case: ‘ওদের জীবনের ৬টা দিন কি আর ফিরবে?’, ডিএসপি-কে ধমক মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সনের

Malda molestation case: পুলিশ আধিকারিক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানালেও রেখা শর্মা প্রশ্ন করেন, কেন ৬ দিন পরও পুলিশ বুঝতে পারল না যে, ভুল লোককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Malda molestation case: ওদের জীবনের ৬টা দিন কি আর ফিরবে?, ডিএসপি-কে ধমক মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সনের
পুলিশকে ধমক রেখা শর্মার।Image Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Aug 01, 2023 | 11:58 PM

মালদহ: দুই মহিলাকে নির্যাতনের ঘটনায় সম্প্রতি উত্তাল হয়েছে রাজনীতি। যাঁদের নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ, তাঁদেরকেই কীভাবে গ্রেফতার করা হল? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এবার সেই সেই ঘটনা সরেজমিনে দেখতে গিয়ে পুলিশ অফিসারকে কড়া ভাষায় ধমক দিলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা। মঙ্গলবার নির্যাতিতাদের সঙ্গে কথা বলতে যান রেখা শর্মা সহ মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা। সেখানেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। পুলিশের বিরুদ্ধে রিপোর্ট দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন।

ডিএসপি ডিএনটি মহম্মদ আজাহারউদ্দিন খান উপস্থিত ছিলেন এদিন। তাঁকে ধমকের সুরেই রেখা শর্মা প্রশ্ন করেন, যাঁরা ওই দুই মহিলাকে গ্রেফতার করেছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না। পুলিশ আধিকারিক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানালেও রেখা শর্মা প্রশ্ন করেন, কেন ৬ দিন পরও পুলিশ বুঝতে পারল না যে, ভুল লোককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি বলেন, “আপনাদের নিজস্ব কোনও তদন্তের ব্যাপার নেই? আপানারা কি হাতের পুতুল নাকি? ওদের জীবনের ৬টা দিন কি আর ফিরে আসবে?” পুলিশ আধিকারিক অবশ্য বোঝানোর চেষ্টা করেন যে, পুলিশের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

রেখা শর্মার অভিযোগ, ৬ দিন ধরে লক আপে কোনও চিকিৎসাও পাননি নির্যাতিতা দুই মহিলা। এখনও তাঁদের চিকিৎসার ব্যবস্থা সঠিকভাবে হচ্ছে না বলে দাবি করেছেন তিনি। চেয়ারপার্সন জানিয়েছেন, তাঁরা পুলিশের বিরুদ্ধে রিপোর্ট দেবেন। এদিন পুলিশ সুপার ও অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা।

মালদহের এই শ্লীলতাহানির ঘটনায় প্রথমে নির্যাতিতাদেরই গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে জামিন পান তাঁরা। ঘটনার ৯ দিন পর চার পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বামনগোলা থানার আইসি জয়দীপ চক্রবর্তী, পাকুয়াহাট পুলিশ ফাঁড়ির ওসি রাকেশ বিশ্বাস, তদন্তকারী অফিসার এবং এক এএসআই-কে ক্লোজ করা হয়। পুলিশ সুপারের নির্দেশে তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তও শুরু হয়েছে।