প্রকাশ্যে তৃণমূল কর্মীকে ‘গণপিটুনি’, আক্রান্ত স্ত্রীও!
পাওনার টাকা নিয়ে শুরু বিবাদ, তাতে লাগে রাজনীতির রং
মালদহ: পাওনা টাকাকে কেন্দ্র করে বিবাদে লাগল রাজনৈতিক রং। তৃণমূল কর্মীকে গণপিটুনির অভিযোগ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মালদার চাঁচল সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল চিকাৎসাধীন ওই ব্যক্তি। উত্তপ্ত মালদার (Maldha) হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকা।
মালদার হরিশচন্দ্রপুরের রাড়িয়াল গ্রামের এক তৃণমূল কর্মী মহম্মদ বেলাল নিজের পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে বিবাদে জড়িয়ে , পড়েন। অভিযোগ, তাঁর ওপর লোহার রড, লাঠি, চ্যালা কাঠ নিয়ে চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় রাসেদ আলি, বাসেদ আলি, সামজেদ আলি, সাগর আলি, শাহনওয়াজ আলি নামে পাঁচ ব্যক্তির নাম উঠে আসে।
স্ত্রী বাধা দিতে গেলে তাঁর ওপরও দুষ্কৃতীরা চড়াও হয় বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা ও তাঁর স্ত্রীর গলার সোনার চেনও ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার সঙ্গে জড়িত রাসেদ আলি, বাসেদ আলি, সামজেদ আলি, সাগর আলি, শাহনওয়াজ আলি কংগ্রেস কর্মী নামে পরিচিত। যদিও কংগ্রেস এই দায় অস্বীকার করেছে। শুরু হয়ে গিয়েছে তৃণমূল-কংগ্রেস রাজনৈতিক তরজা।
তৃণমূল ব্লক সভাপতি মানিক দাস কংগ্রসকে কটাক্ষ করে বলেছেন “ভোটের আগে এসব করা কংগ্রেসের কালচার। তৃণমূলের কালচার নয় এটা। আমার লোক টাকা পেত, সেটা চাইতে গিয়ে তাকে মারধর করা হয়েছে। আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব। সামনে ভোট, তার আগে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হচ্ছে।”
আরও পড়ুন: ‘হাফ লাখে হারাবে না, হারবে’,মমতা-শুভেন্দু টক্করে নয়া চ্যালেঞ্জ নন্দীগ্রামের আরেক সেনানীর
যদিও এটিকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে কটাক্ষ করেছেন হরিশ্চন্দ্রপুর ব্লক কংগ্রেস সভাপতি বিমান বিহারী বসাক। তিনি বলেছেন, ” একটা ঝামেলা হয়েছে এবং তার সূত্র ধরে একটা ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। তৃণমূল বলছে কংগ্রেস তার মাটি হারিয়ে ফেলেছে বলে এসব করছে। হরিশচন্দ্রপুরের মাটিতে কংগ্রেস শেষ কথা বলবে। এখানে কংগ্রেস বিধায়ক আছে এবং আগামী দিনেও থাকবে। ওরা নিজেরাই ঝামেলা করে ভাগাভাগি নিয়ে। এটা তারই জের।”