কলকাতা: দলে তিনিই যে সর্বেসর্বা সেই বিষয়টি আবার মনে করিয়ে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নব্য-আদি দ্বন্দ্ব থেকে ক্যালেন্ডার বিভ্রাট। তৃণমূল কার? এই নিয়ে দলের অন্দরে হামেশাই একটা প্রশ্নচিহ্নের উদয় হয়েছে।
যে ছবি আজ দেখা গেল, তা যে একেবারেই নতুন নয়, স্পষ্ট করেছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। দলের মধ্যে ‘তিনিই যে শেষ কথা’, তা আবার বিধানসভা বাজেট অধিবেশনের আগে বিধায়কদের নিয়ে বসা বৈঠক থেকে সাফ করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, বিধানসভায় আজ থেকে শুরু হচ্ছে বাজেট অধিবেশন। আগামী বুধবার ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে শেষবারের মতো পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করবে সরকার পক্ষ। আর সেই অধিবেশন শুরুর আগেই রণনীতি ঠিক করতে পরিষদীয় দলের বৈঠক ডেকেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মূলত, দলের অন্দরে কোনও রদবদল প্রয়োজন কিনা। কিংবা ছাব্বিশের নির্বাচনের রণনীতিটাই বা কী হবে, সেই প্রসঙ্গেই আয়োজন হয়েছিল এই বৈঠকের।
সেখান থেকেই কড়া নির্দেশ তাঁর। সংগঠনে তিনিই যে ‘শেষকথা’ বলবেন, বৈঠক থেকে বিধায়কদের ফের একবার মনে করিয়ে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। পাশাপাশি, ছাব্বিশের নির্বাচনেও দলের নেতা-কর্মী কোমড় বেঁধে নামার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন, বুথে বুথে কাজে আরও জোর দিতে হবে। যোগাযোগ বাড়াতে হবে দলের পুরনো নেতাদের সঙ্গেও। পাশাপাশি, বর্ধমানের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের একটি কার্যালয় নিয়ে সমস্যা সমাধানও করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ছাব্বিশের নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই যেন দলের মধ্যে বাড়ছিল মতবিরোধী। কখনও হুমায়ুন, কখনও মদন। বিতর্কে জড়াচ্ছিলেন প্রত্য়েকেই। নতুন করে মাথা চাড়া দিচ্ছিল আদি-নব্য দ্বন্দ্ব। আর সেই সংঘাতের নিষ্পত্তি করতেই কড়া নির্দেশ মমতার। সূত্রের খবর, সদ্য হওয়া দিল্লির নির্বাচনের ফলাফল নিয়েও সুর চড়ান তিনি। তাঁর দাবি, কংগ্রেস সমঝোতার পথে এলে এমনটা হত না। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বঙ্গে ফের তৃণমূলই যে ক্ষমতা আসবে, সেই নিয়ে কনফিডেন্ট মমতা। তাঁর দাবি, ‘দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আমরা ফের ক্ষমতায় আসব।’