মুর্শিদাবাদ: জন্মদিনে মন্নতের ব্যালকনি থেকে একবার ‘শাহরুখ’ দর্শন, বা জলসার ব্যালকনি থেকে ‘বচ্চন’ দর্শন যেন স্বপ্ন বহু ফ্য়ানের কাছেই। টিভির পর্দায় দেখা ওই জনজোয়ারের ছবি চেনা অনেকেরই। কিন্তু, এ তো হচ্ছে তারকাদের কথা। কিন্তু, কোনও জনসভা, কোনও মিটিং-মিছিল ছাড়াই জনতার সমুদ্রে খুব একটা ভাসতে দেখা যায় না জননেতাদের। কিন্তু, সেই ছকই মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) ভেঙে ফেললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhisekh Banerjee)। ফারাক্কা থেকে ধুলিয়ান হয়ে জঙ্গিপুরের উমরপুর মোড়ের দূরত্ব সাকুল্যে ২৭ কিলোমিটার। পেরোতে লাগলো আড়াই ঘণ্টা। গোটা রাস্তা কার্যত দখল নেন তৃণমূল কর্মীরা (Trinamool Worker)। অনুগামীদের সঙ্গে নিয়ে অভিষেক দর্শনে হাজির স্থানীয় বিধায়করা। রাস্তায় ভিড়ের মধ্যেই কখনও উঁকি মেরে উঠলেন সাংসদ খলিলুর রহমান বা কখনও অন্য কোনও বিধায়ক। অভিষেকের জন্য এই উন্মাদনা দেখে যারপরনাই খুশি তৃণমূল।
দর্শন প্রার্থীদের ডাকে সাড়া দিয়ে চার চার বার গাড়ির ওপরে উঠে দাঁড়ালেন অভিষেক। হাত তালির ঝড় উঠল চৌত্রিশ নম্বর জাতীয় সড়কে। প্রসঙ্গত, এই মুর্শিদাবাদেই সাগরদিঘির উপনির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছিল ঘাসফুল শিবির। এবার সেই মুর্শিদাবাদে পঞ্চায়েত ভোটের আগে অভিষেকের প্রথম সফর ঘিরে দিনভর থাকল প্রচারে চমক, আর সঙ্গে উপরি পাওনা হিসাবে তৃণমূল কর্মীদের বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাস।
‘সাগরদিঘি এখন অতীত’
গাড়ির ওপরে দাঁড়িয়েই ভিড় পেরোচ্ছেন তিনি। হাত নাড়ছেন। সুতি মোড়ের ভিড়, যান জট পেরিয়ে ধীরে ধীরে এগোচ্ছে কনভয়। আবার জঙ্গিপুরের আগেই জাতীয় সড়কে ঘিরে ধরল ভিড়। কোথাও আবার হাতে তৃণমূলের পতাকা নিয়ে ওড়াতে লাগলেন তৃণমূলের ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’। তৃণমূলের জনসংযোগ কর্মসূচিতে এদিন মুর্শিদাবাদ আসেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই একাধিক জায়গায় ভিড়ের জেরে আটকে যায় অভিষেকের গাড়ি। গাড়ির ছাদে উঠে যান অভিষেক। ভিড়ের মাঝেই রাস্তার এক পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। ভিড়ের সঙ্গেই হাঁটছেন। মুর্শিদাবাদের অভিষেক সফর নিয়ে জিজ্ঞাসা করতেই বললেন, “সাগরদিঘি এখন অতীত। মুর্শিদাবাদের মানুষ বুঝিয়ে দিয়েছেন তাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গেই আছেন।”