Adhir-Apurba: বালি পাচারের অভিযোগ অধীরের, পাল্টা বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক অপূর্ব
Adhir-Apurba: অধীর চৌধুরীকে আক্রমণ করে অপূর্ব সরকার বলেন, "১৯৯৫ থেকে আপনি তো মুর্শিদাবাদের রবীনহুড ছিলেন। আপনার কথা ছাড়া গাছের একটি পাতা নড়ত না। আপনি নিয়েছেন একবারও বলছি না আমি। বালি গরু সব আমাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া। আর আপনাদের সব ধনসম্পত্তি আকাশ থেকে পড়েছে? অপূর্ব সরকারের নামে অভিযোগ করতে হলে লিখিত অভিযোগ করুন। ইডি, সিবিআই যত আছে তাদের আমার পিছনে লাগিয়ে দিন।"

মুর্শিদাবাদ: একসময় তাঁরা একই দলে ছিলেন। মুর্শিদাবাদে অধীর চৌধুরির সবচেয়ে বিশ্বস্ত সঙ্গী ছিলেন অপূর্ব সরকার ওরফে ডেভিড। আজ দু’জনে পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী। অধীরের বিরুদ্ধে এবার বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন একসময়ের বিশ্বস্ত সঙ্গী অপূর্ব সরকার। মুর্শিদাবাদে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে অধীর বালি চুরির অভিযোগ করতেই পাল্টা কান্দির তৃণমূল বিধায়ক অপূর্ব বললেন, “অধীরবাবু যতদিন ছিলেন ততদিন হয়তো আমরা নিয়ে অধীরবাবুকে দিতাম। এখন তিনি পাচ্ছেন না।”
বীরভূমে বালি পাচার নিয়ে তোলপাড়ের মধ্যেই মুর্শিদাবাদেও বালি পাচার নিয়ে অভিযোগ। অধীর চৌধুরী গতকাল বীরভূমের বালি পাচার নিয়ে বলতে গিয়ে বলেন, “বালি পাচার এই জেলাতেও হয়। পাচারকারীদের পাচারের জন্য দিদির দলের লোকজন টেন্ডারে অংশগ্রহণ করে।” উদাহরণ দিয়ে বলেন, “ধরুন এই জেলার সভাপতির রেট ৬০ লক্ষ। এরপর সেই জেলা সভাপতি ব্লক সভাপতির রেট বেঁধে দেন। এই রাজ্যে কর্মসংস্থান কিছু নেই। এইসব ধান্দাবাজি আছে। পাচারকারী আছে। গরু পাচার, পাথর পাচার। পাচারকারীরা পাচার না করলে বাঁচতে পারবে না।”
অধীরের আক্রমণের জবাব দিতে গিয়ে মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা কান্দির বিধায়ক অপূর্ব সরকার বলেন, “অধীরবাবু যতদিন ছিলেন, ততদিন হয়তো আমরা নিয়ে অধীরবাবুকে দিতাম। এখন উনি পাচ্ছেন না। অপূর্ব সরকার কী, কেমন সবাই জানে। উনি হয়তো জানেন না, এখন নিয়মটা বদলে গেছে। মুখ্যমন্ত্রীর দফতর মনিটরিং করে এই বালি নিয়ে। উনার যদি কোনও অভিযোগ থাকে, বাজার গরম না করে সাধারণ মানুষ হিসেবে থানায় অভিযোগ করুন। গরু পাচার তো হয়েছে। ১৯৯৫ থেকে আপনি তো মুর্শিদাবাদের রবীনহুড ছিলেন। আপনার কথা ছাড়া গাছের একটি পাতা নড়ত না। আপনি নিয়েছেন একবারও বলছি না আমি। বালি গরু সব আমাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া। আর আপনাদের সব ধনসম্পত্তি আকাশ থেকে পড়েছে? অপূর্ব সরকারের নামে অভিযোগ করতে হলে লিখিত অভিযোগ করুন। ইডি, সিবিআই যত আছে তাদের আমার পিছনে লাগিয়ে দিন। যদি টাকা নিয়ে থাকি, হাসতে হাসতে জেলে যাব।” কান্দি মাস্টার প্ল্যানে অধীরবাবু সংস্থা কত টাকার কাজ করেছে, তা তিনি জানেন বলেও অধীরকে হুঁশিয়ারি দেন অপূর্ব সরকার।

