Recruitment Scam: বিভাসের ডালপালা ছড়িয়ে জীবনের তালুকেও! চাঞ্চল্যকর তথ্য TV9 বাংলার হাতে

সিজার মণ্ডল | Edited By: Soumya Saha

Apr 18, 2023 | 7:18 PM

Hetia: বীরভূম-মুর্শিদাবাদ সীমানা লাগোয়া গ্রাম হেতিয়া। জীবনের ঠাকুরদা সাতকড়ি সাহার আদি বাস এই গ্রামেই। সেই হেতিয়া গ্রামেই প্রায় তিন একর জমির উপর রয়েছে আরিয়ান এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট। কী সেই কলেজের রহস্য? জেনে নিন...

Recruitment Scam: বিভাসের ডালপালা ছড়িয়ে জীবনের তালুকেও! চাঞ্চল্যকর তথ্য TV9 বাংলার হাতে
জীবনকৃষ্ণ সাহা ও বিভাস অধিকারী

Follow Us

মুর্শিদাবাদ: নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা (Jiban Krishna Saha)। তিনি এখন রয়েছেন সিবিআই হেফাজতে। পাঁচিল টপকে পালানোর চেষ্টা, পুকুরে মোবাইল ছুড়ে ফেলে দেওয়া… যে নাটকীয়তা দেখা গিয়েছে জীবনের বাড়িতে, তা হার মানাবে সিনেমার প্লটকেও। আর এবার আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। জানা যাচ্ছে, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে গোয়েন্দাদের স্ক্যানারে থাকা নলহাটির বিভাস অধিকারীর (Bibhas Adhikari) ডালপালার হদিশ রয়েছে জীবনের তালুকেও। বীরভূম-মুর্শিদাবাদ সীমানা লাগোয়া গ্রাম হেতিয়া। জীবনের ঠাকুরদা সাতকড়ি সাহার আদি বাস এই গ্রামেই। সেই হেতিয়া গ্রামেই প্রায় তিন একর জমির উপর রয়েছে আরিয়ান এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট। তিনখানা প্রকাণ্ড ভবন। তার বাইরে রয়েছে চাষের জমি , পুকুর, ধানকাটা মেশিন। কলেজে দাড়িয়ে বিলাস বহুল গোটা চারেক গাড়ি। সব মিলিয়ে এলাহী ব্যাপার। ২০১৬ সালে তৈরি এই কলেজ এও মিলল বিভাস অধিকারী যোগ। এই কলেজটিও বিভাস অধিকারীর তৈরি অনুকূল চন্দ্র সৎসঙ্গ ট্রাস্ট-এর নামে নথিভুক্ত।

বিভাস অধিকারীর যে এই কলেজে আনাগোনা ছিল, তার হদিশও মেলে একাধিক ছবিতে। যদিও খাতায় কলমে এই কলেজ চালান হেতিয়া গ্রামের বাসিন্দা পলাশ মণ্ডল। কলেজের সম্পাদক পদে রয়েছেন পলাশবাবু। তাঁর বাড়িও এই হেতিয়া গ্রামেই। প্রকাণ্ড দোতলা এক বাড়ি। কিন্তু সেই বাড়িতে দেখা মিলল না পলাশের। তাঁর মা এবং স্ত্রী জানালেন পলাশই এই কলেজ চালান। কিন্তু পলাশের স্ত্রী বা মা কেউই বিভাসকে চেনেন না। সেই সঙ্গে এটাও স্বীকার করলেন কলেজ তৈরির আগে কার্যত কিছুই করতেন না পলাশ। অথচ এলাকার মানুষের দাবি কলেজ হওয়ার পর ভোল বদলে গিয়েছে পলাশের।

টিভি নাইন বাংলার তরফে ফোনে যোগাযোগ করা হয়েছিল পলাশের সঙ্গেও। ওই কলেজ যে বিভাসের ট্রাস্টের নামে নথিভুক্ত, সেকথা মেনে নিচ্ছেন পলাশবাবু। বিভাসযোগ নিয়ে প্রশ্ন করায় তাঁর উত্তর, কলেজ নথিভুক্তির সময় তাড়াহুড়োয় কোনও ট্রাস্ট বানাতে পারেননি তিনি। তাই বিভাসের ট্রাস্টের নামেই নথিভুক্ত এই কলেজ। বিভাসের কোনও বিনিয়োগ কি ছিল কলেজে? প্রশ্ন করায় তাঁর উত্তর, কোনও লগ্নি নেই বিভাসের। পরে অবশ্য নিজেই জানান প্রায় ২৫ লাখ টাকা দিয়েছিলেন বিভাস। পলাশের দাবি, সেটি ধার হিসেবে ছিল। ইমারতি সামগ্রীর দোকানে বিভাসের সাহায্যে ধারে সামগ্রী নিয়েছিলেন পলাশ এবং পরে তা শোধ করে দিয়েছিলেন।

পলাশের দাবি, কলেজের জমির বেশিরভাগই তাঁদের পারিবারিক জমি। বাকি কিছুটা জমি কিনেছেন। দেড় কোটি টাকা ব্যাংক ঋণের কথাও বলেন পলাশ। তার দাবি, বর্তমানে ব্যবসা মন্দা চলছে। এদিকে পরিবারের লোকেরা আগেই জানিয়েছেন, এই কলেজের কাজে যুক্ত হওয়ার আগে বিশেষ কিছুই করতেন না পলাশ। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, বেকার থেকে কলেজের ‘মালিক’ কীভাবে হলেন তিনি? কোন মন্ত্রবলে? জানা যাচ্ছে, ২০২২ সালে দুবাই থেকেও ঘুরে এসেছেন পলাশ। সব মিলিয়ে এই কলেজের লগ্নি ঘিরেই ঘনাচ্ছে রহস্য। গোয়েন্দাদের সন্দেহের আওতাতেও এই কলেজ রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তাহলে কি এই কলেজেও রয়েছে নিয়োগ দুর্নীতির যোগ? প্রশ্নটা কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।

Next Article