মুর্শিদাবাদ: সিপিএম ও তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষের অভিযোগ ঘিরে ছররা গুলি ছোড়ার অভিযোগ। সোমবার এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে ডোমকলে (Domkal)। ভোটের বাংলায় বারংবার হিংসার অভিযোগ প্রথম থেকেই। এবার ডোমকলের জোতকানা তুলসীপুর এলাকা। তৃণমূলের অভিযোগ, সিপিএমের মিছিল থেকে ওই ছররা গুলি চলেছে। পাল্টা শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেগেছে সিপিএম-ও। সংঘর্ষে চারজন আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ। আহতদের মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে।
মনোনয়নপর্ব থেকেই বারবার শিরোনামে মুর্শিদাবাদের ডোমকল। রানিনগরে তুমুল সংঘর্ষ দেখা গিয়েছে মনোনয়নপত্র দাখিলকে ঘিরে। ঝামেলার এবার প্রচারকে কেন্দ্র করেও উত্তেজনা। এদিন জোতকানা এলাকায় সিপিএমের ভোটের প্রচার চলছিল। মিছিল ছিল তাদের। তৃণমূলের অভিযোগ, মিছিল থেকে অশ্রাব্য ভাষায় কথা বলা হচ্ছিল। তা থেকেই ঝামেলা শুরু।
আহত এক তৃণমূল কর্মী ইসমাইল শেখ বলেন, “সিপিএমের লোকেরা বোমা মারছিল, গুলিও চালায়। সঙ্গে ছিল ইট। আমরা আলাদা দল করি, ওরা আলাদা দল করে। সেই রাগেই হামলা করেছে। আমার কানে লাগে, কপালে লাগে। ফেটে গিয়েছে কপাল।” যদিও সিপিএমের তরফে দাবি করা হয়েছে, ঘটনাস্থলে পুলিশ ছিল। ডোমকলের এরিয়া কমিটির সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সিপিএমের কেউ এই গোলাগুলিতে জড়িত না। তাঁদের আদর্শের সঙ্গে এই বোমার রাজনীতি যায় না বলেই দাবি নেতাদের। পাল্টা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে এর জন্য দায়ী করেছে সিপিএম। মোস্তাফিজুর রহমানের কথায়, “আমাদের কমরেডদের নামে মিথ্যা কেস দেওয়ার জন্য এইসব ষড়যন্ত্র তৃণমূল করছে। আসলে ওদের পায়ের তলার মাটি নেই। তাই সিপিএমকে দমিয়ে রাখতে এসব করছে।”
এ বিষয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, “কিছুদিন আগেই পুরুলিয়ায় আমার এক বুথ সভাপতি ভাইকে খুন করা হয়েছে। ভাঙড়ে একজন আইএসএফের ভাই মারা গিয়েছেন, দু’জন তৃণমূলের ভাইও মারা গিয়েছেন। আজও চারজনকে গুলি করা হয়েছে। বাংলাজুড়ে তৃণমূলের লোকের উপর হামলা করা হচ্ছে। একদিকে ইডি সিবিআইয়ের ভয় দেখানো হচ্ছে। আরেকদিকে প্রাণে মারার জন্য গুলি করা হচ্ছে।”