Firhad Hakim: ‘খুনের রাজনীতি করেছেন অধীর’, আক্রমণ ফিরহাদের; পটনার সব হিসেব-নিকেশ গুলিয়ে যাচ্ছে বাংলায়

Koushik Ghosh | Edited By: Soumya Saha

Jun 26, 2023 | 8:16 PM

TMC-Congress: ফিরহাদের বক্তব্য, মায়েরা তাঁদের সন্তানদের খুন হওয়ার জন্য জন্ম দেন না। এরপরই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বললেন, 'খুনের রাজনীতি করেছেন অধীর চৌধুরী।'

Firhad Hakim: খুনের রাজনীতি করেছেন অধীর, আক্রমণ ফিরহাদের; পটনার সব হিসেব-নিকেশ গুলিয়ে যাচ্ছে বাংলায়
ফিরহাদের নিশানায় অধীর
Image Credit source: টিভি নাইন বাংলা

Follow Us

মুর্শিদাবাদ: মুর্শিদাবাদের মাটি থেকে ভোটের মুখে প্রদেশ কংগ্রস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীকে (Adhir Ranjan Chowdhury) একহাত নিলেন রাজ্যর মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। অধীরবাবু এককালে ‘খুনের রাজনীতি’ করেছেন বলে অভিযোগ ফিরহাদের। আজ দুপুরে মুর্শিদাবাদের ডোমকলে এক নির্বাচনী প্রচার সভা থেকে এই ভাষাতেই আক্রমণ শানালেন তিনি। একইসঙ্গে বিঁধলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বাম নেতা আনিসুর রহমানকেও। আগে আনিসুর রহমান যখন এলাকায় দাপিয়ে বেড়াতেন, যে কোনও ভোটের সময়েই ডোমকলে রক্ত ঝরত বলে অভিযোগ ফিরহাদের।

নির্বাচনী প্রচার সভা থেকে ফিরহাদের প্রশ্ন, আগে যখন ডোমকলে কোনও ভোট হত, তখন কত মানুষ মারা যেতেন? অভিযোগের সুরে বললেন, আনিসুর রহমান মন্ত্রী থাকাকালীন প্রত্যেক নির্বাচনে শ’য়ে শ’য়ে লোক মারা গিয়েছেন। ফিরহাদের বক্তব্য, মায়েরা তাঁদের সন্তানদের খুন হওয়ার জন্য জন্ম দেন না। এরপরই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বললেন, ‘খুনের রাজনীতি করেছেন অধীর চৌধুরী।’

এদিকে ফিরহাদের এই আক্রমণের কড়া জবাব দিয়েছেন কংগ্রেসের জেলা মুখপাত্র জয়ন্ত দাস। তাঁর পাল্টা বক্তব্য, ফিরহাদ হাকিম যেন নিজে একবার বেলজিয়াম কাচের সামনে দাঁড়িয়ে দেখেন বাস্তব চিত্র। কংগ্রেস নেতার প্রশ্ন, ‘ফিরহাদের দলে কি সবাই সন্ন্যাসী আর মৌলবী?’ এই ধরনের মন্তব্য সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক বলেই মনে করছে কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব।

উল্লেখ্য, দু’দিন আগেই পটনায় বিজেপি বিরোধী দলগুলি বৈঠকে বসেছিল। অ-বিজেপি দলগুলিকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসার চেষ্টায় অন্যতম উদ্যোগী যে দুই দল, তাদের মধ্যে অবশ্যই কংগ্রেস ও তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাহুল গান্ধী দুজনেই সেই বৈঠকে ছিলেন। বিজেপিকে কীভাবে পর্যুদস্ত করা যায়, তার নীল নকশা তৈরি করেছেন তাঁরা। শুধু মমতা রাহুলই নন, সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরিও ছিলেন সেখানে। সকলে মিলে পটনায় বৈঠকে বসেছিলেন। রাহুলের সঙ্গে মমতার বেশ খোশমেজাজি কথাবার্তার ছবিও ধরা পড়েছে। কিন্তু সব হিসেব যেন গুলিয়ে যাচ্ছে বাংলায় ফিরে। এখানে আবার গ্রাম বাংলার দখল নিতে একে অপরের বিরুদ্ধে একেবারে খড়্গহস্ত।

Next Article