Krishnagar: হাতে পায়ে ধরছেন মাছ ব্যবসায়ী, তোলা না দেওয়ায় মাঝ রাস্তায় ফেলে গুলি!

Mahadeb Kundu | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Jul 19, 2024 | 2:25 PM

Krishnanagar: বিশ্বনাথ ঘোষ নামে এক ব্যবসায়ী সকালে আড়তে গিয়েছিলেন মাছ কিনতে। সেই সময় তাঁর কাছে বিপুল অর্থ দাবি করা হয় বলে অভিযোগ। তা দিতে রাজি না হওয়ায় সোজা বন্দুক করে গুলি চালানো হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় জখম বিশ্বনাথ শক্তিনগর হাসপাতালে ভর্তি।

Krishnagar: হাতে পায়ে ধরছেন মাছ ব্যবসায়ী, তোলা না দেওয়ায় মাঝ রাস্তায় ফেলে গুলি!
ভয়াবহ ফুটেজ সামনে এসেছে।

Follow Us

নদিয়া: কৃষ্ণনগরে তোলা না দেওয়ায় এক মাছ ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল। হাড় হিম করা সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে (টিভিনাইন বাংলা এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি)। তবে সেই ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে এক মাছ বিক্রেতাকে রাস্তায় ফেলে বেদম মারধর করা হচ্ছে। একজন আবার পিস্তল উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে। পরে ওই ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে গুলিও চালানোর অভিযোগ ওঠে। একটি তাঁর পায়ে লাগে। কৃষ্ণনগর গোয়াড়ি বাজার মাছের আড়তে এই ঘটনা ঘটে। এই ভিডিয়োয় দুই যুবককে হামলা করতে দেখা গিয়েছে। অভিযোগ, একজনের নাম ডাকু। তবে অভিযোগ, ভিডিয়োয় আরও একজনকে দেখা গিয়েছে। তিনি শহর তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি। যদিও এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখে তারপরই বলতে পারবে।

বিশ্বনাথ ঘোষ নামে এক ব্যবসায়ী সকালে আড়তে গিয়েছিলেন মাছ কিনতে। সেই সময় তাঁর কাছে বিপুল অর্থ দাবি করা হয় বলে অভিযোগ। তা দিতে রাজি না হওয়ায় সোজা বন্দুক করে গুলি চালানো হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় জখম বিশ্বনাথ শক্তিনগর হাসপাতালে ভর্তি। কৃষ্ণনগর নগেন্দ্র নগরের বাসিন্দা বিশ্বনাথ মাছ ব্যবসায়ী। প্রতিদিনই কৃষ্ণনগর পাত্রবাজারে মাছ বিক্রি করেন তিনি। শুক্রবার সকালে গোয়াড়ি বাজারে আড়তে মাছ কিনতে গিয়ে এই ঘটনা।

বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, এ রাজ্যে এখন মস্তানতন্ত্র চলছে। সারা রাজ্যে ছেয়ে গিয়েছে এসব। তাই তো কথায় কথায় এখানে গুলি চলে। তৃণমূল মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তীর কথায়, “আমি আপনাদের কাছেই এই ঘটনা শুনলাম। যদি এর সত্যতা থেকে থাকে প্রশাসন কঠোরতম ব্যবস্থা নেবে।”

তবে একইসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্রের দাবি, ঘটনার সত্যতা কতটা। তাঁর ব্যাখ্যা, কৃষ্ণনগর লোকসভায় তৃণমূল জিতলেও কৃষ্ণনগর শহর, কৃষ্ণনগর দক্ষিণ বা উত্তরে বিজেপি অনেকটাই এগিয়ে। তাঁর কথায়, “যেখানে বিজেপির সাংগঠনিক শক্তি বেশি সেখানে এ ধরনের ঘটনা নিয়ে পুলিশ খতিয়ে দেখবে।”

বিশ্বনাথ ঘোষের ভাইয়ের কথায়, “সৈকত হালদার ওরফে ডাকু মেরেছে। ও ক্রিমিনাল। দু’দিন আগে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে। মদ খাওয়ার টাকা চাইছিল দাদার কাছে। না দেওয়ায় মেরেছে।” বিশ্বনাথের ভাইয়ের দাবি তিনি তৃণমূল করেন। এক সময় ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি ছিলেন।

এ বিষয়ে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর অয়ন দত্ত বলেন, ” মানুষ আতঙ্কের মধ্যে আছেন। আমরা বিষয়টি দেখছি। এলাকায় যেন এরকম ঘটনা না বরদাস্ত করা হয় সেটাই আবেদন প্রশাসনের কাছে।”

Next Article