নদিয়া : রাস্তায় পড়ে থাকা বেশ কিছু কাগজ দেখে তুলতে যেতেই চক্ষু চড়কগাছ! কোথা থেকে এল ওএমআর শিট? পরে হাতে নিয়ে দেখা যায় সেগুলি ক্যালকাটা ইউনিভার্সিটির উত্তরপত্র। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নদিয়ার করিমপুরে। কীভাবে এল এই উত্তরপত্র, কে বা কারা এই কাজের সঙ্গে জড়িত, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সাধারণ মানুষের মনে। একটি সাহিত্য পরিষদের পক্ষ থেকে আগামী কর্মসূচি নিয়ে চলছিল একটি আলোচনা সভা। সেই সভার কাজ চলাকালীনই পরিষদের সদস্যদের নজরে আসে বিষয়টি। তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি পুলিশকে জানান। উত্তরপত্রগুলি করিমপুর থানায় জমা দেওয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে করিমপুর থানার পুলিশ।
সাহিত্য পরিষদের এক সদস্য জানান, পরিষদের কাজের জন্যই প্রস্তুতি চলছিল। সেই সময় তাঁরা কাগজ দেখতে পেয়ে তুলে নেন। থানায় ফোন করে পুরো বিষয়টি জানান প্রথমে। আই সি তাঁদের বলেন উত্তরপত্রগুলি জমা করতে। পরে তাঁরা লিখিতভাবে থানায় পুরো বিষয়টি জানান।
এই ঘটনায় শাসক দলকে বিঁধছেন বিরোধীরা। শিক্ষা দফতরের গাফিলতি নিয়ে আবারও উঠছে প্রশ্ন, এই প্রসঙ্গে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘শিক্ষা ব্যবস্থাকে এমনিতেই রাস্তায় টেনে নামিয়েছে। তাই চপ, সিঙাড়ার দোকানে উত্তরপত্র পাওয়া যাবে, এটাই স্বাভাবিক। এতে চপশিল্পের উন্নতি হচ্ছে বলে কটাক্ষ করেন তিনি।’
দিন কয়েক আগে কলকাতার রাস্তাতেও মিলেছিল একগুচ্ছ ওএমআর শিট। দক্ষিণ কলকাতার গড়িয়াহাট মোড়ের কাছে সেগুলি পাওয়া গিয়েছিল। পরে জানা যায়, সেগুলি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-এর পরীক্ষার উত্তরপত্র। কলকাতা বিশ্ব বিদ্যালয়ের ২০১৯ সালের বি’কমের পরিবেশ বিদ্যার উত্তরপত্র উদ্ধার হয়েছিল সেবার। নিয়োগ দুর্নীতিতে যখন রাজ্য সরকার তথা শিক্ষা দফতর কোনঠাসা, তখন পরপর এই সব ঘটনা শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলছে।