Nadia: একসঙ্গে ৩ বিরোধী, তৃণমূলকে হারিয়ে ‘মহাজোট’-এ জয় দেখছে বিজেপি-কংগ্রেস-সিপিএম
Nadia: তৃণমূলকে হারাতে তাঁরা যে জোট বেঁধেছিলেন, তা মেনে নিলেন স্থানীয় বিজেপি, সিপিএম এবং কংগ্রেস নেতারা। তাঁরা বলেন, "এই সমবায় নির্বাচনে গণতান্ত্রিক মহাজোট পেয়েছে ৫টি আসন। আর তৃণমূল পেয়েছে ৪টি আসন। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে এই গণতান্ত্রিক মহাজোট করেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে আমরা লড়ব।"

নদিয়া: বাংলায় কংগ্রেস, বিজেপি ও সিপিএমের মধ্যে আঁতাতের অভিযোগ প্রায়ই করেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা। এবার সেই ছবি দেখা গেল নদিয়ায় একটি সমবায় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। সিপিএম, কংগ্রেস ও বিজেপি ‘গণতান্ত্রিক মহাজোট’ করে সমবায় নির্বাচনে পরাজিত করল শাসকদল তৃণমূলকে। আগামী বিধানসভা এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনেও এইভাবেই গণতান্ত্রিক জোট করে শাসকদলকে তারা পরাজিত করবে বলে জোটের দাবি। অন্যদিকে, হেরে তৃণমূলের কটাক্ষ, একা লড়ার ক্ষমতা নেই বলে নীতি বিসর্জন দিয়ে জোট করেছে বিরোধীরা।
নদিয়ার নাকাশিপাড়া থানা এলাকার কাঁচকুলি সমবায় সমিতির নির্বাচন ছিল এদিন। ৯টি আসন বিশিষ্ট এই সমবায় সমিতির নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস এককভাবে সব আসনে প্রার্থী দিয়েছিল। গণতান্ত্রিক মহাজোট করে বিজেপি, কংগ্রেস এবং সিপিএম। এই সমবায় সমিতিতে মোট ভোটারের সংখ্যা ৭৭২। নির্বাচনকে ঘিরে যাতে অশান্তি না ছড়ায়, তার জন্য সকাল থেকে কড়া পুলিশি নিরাপত্তা ছিল।
নির্বাচন শেষে দেখা যায়, শাসকদল তৃণমূল চারটি আসনে জয়লাভ করেছে। রাজ্যের বিরোধীদল এবং তাদের জোট সঙ্গী পাঁচটি আসনে জয়লাভ করে। যদিও বোর্ড গঠনের দিন দুটি ভোট রয়েছে এই সমবায় সমিতির বোর্ডের হাতে। একটি এই সমবায় সমিতির সম্পাদকের। অপর ভোটটি স্থানীয় বিধায়কের। এখানকার তৃণমূল বিধায়ক কল্লোল খান। অনেকে বলছেন, বিধায়ক ও সম্পাদকের ভোট পেলে বোর্ড গঠনে এগিয়ে যাবে তৃণমূল। তবে এদিনের নির্বাচনকে নিজেদের বড় জয় হিসেবেই দেখছে বিরোধীরা।
তৃণমূলকে হারাতে তাঁরা যে জোট বেঁধেছিলেন, তা মেনে নিলেন স্থানীয় বিজেপি, সিপিএম এবং কংগ্রেস নেতারা। তাঁরা বলেন, “এই সমবায় নির্বাচনে গণতান্ত্রিক মহাজোট পেয়েছে ৫টি আসন। আর তৃণমূল পেয়েছে ৪টি আসন। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে এই গণতান্ত্রিক মহাজোট করেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে আমরা লড়ব। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনেও এই মহাজোট বজায় রেখে পঞ্চায়েত দখল করব। এটাই আমাদের দৃঢ় প্রতিজ্ঞা।”
তিন দলকে কটাক্ষ করে স্থানীয় অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি শ্যামল ভট্টাচার্য বলেন, “কেউ একা পেরে উঠছে না। তাই সব নীতি আদর্শ বিসর্জন দিয়ে বিজেপি, সিপিএম কংগ্রেস একজোট হয়েছে।”

