Delhi Blast: নদিয়ার ছেলে কথা বলত জঙ্গি ডাক্তার শাহিনের সঙ্গে? দিল্লি বিস্ফোরণ-কাণ্ডে গোয়েন্দাদের হাতে বড়সড় তথ্য
তবে জানা যাচ্ছে, এই সাবির এখন প্রেসিডেন্সিতে জেলে বন্দি রয়েছেন। বেআইনি মাদক পাচারের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। বন্দি অবস্থাতেই কি তিনি দেশবিরোধী কাজকর্ম চালাতেন? সেই নিয়ে তদন্ত করছেন গোয়েন্দারা। গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শাহিন শাহিদের গ্রুপে সক্রিয় ছিলেন সাবির আহমেদ।

নদিয়া: দিল্লির ঘটনার তদন্ত চলছে। দেশজুড়ে তল্লাশি চালাচ্ছে এনআইএ গোয়েন্দারা। ইতিমধ্যেই উত্তর দিনাজপুর, কোচবিহারের মতো একাধিক জায়গায় গোয়েন্দারা পা রেখেছেন। আর এবার নদিয়ার পলাশী পাড়ায় হাজির গোয়েন্দারা। সেখানকার বাসিন্দা সাবির আহমেদের নাম জড়িয়েছে এই ঘটনায়।
তবে জানা যাচ্ছে, এই সাবির এখন প্রেসিডেন্সিতে জেলে বন্দি রয়েছেন। বেআইনি মাদক পাচারের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। বন্দি অবস্থাতেই কি তিনি দেশবিরোধী কাজকর্ম চালাতেন? সেই নিয়ে তদন্ত করছেন গোয়েন্দারা। গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শাহিন শাহিদের গ্রুপে সক্রিয় ছিলেন সাবির আহমেদ। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত বিভিন্ন সময় ভারত বিরোধী প্রচার এবং দেশবিরোধী কাজের উৎসাহ প্রদান করতেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
আজ অভিযুক্তকে জেলেই দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করেন গোয়েন্দা আধিকারিকরা। জেলবন্দি থাকা অবস্থার মধ্যেও কীভাবে ফোনে যোগাযোগ করছিলেন তিনি তার তদন্ত করছেন গোয়েন্দারা।
সাবিরের ঠাকুমা ইসমা বিবি তারা বলেন, “সম্পর্কে আমার নাতি হয়। এখন জেলে আছে। প্রায় তিন বছর জেলে আছে। ও জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত আছে কি না সেটা জানি না। জেলে কেন আছে বলতে পারব না। শুধু জানি, একদিন বের হয়েছিল বাইরে বন্ধুদের সঙ্গে তখন বের করে দেয়। আমাদের সঙ্গে আর কোনও যোগাযোগ নেই।” স্থানীয় বাসিন্দা মিঠুন শেখ বলেন, “জানতাম তো ভাল ছেলে। ভাল পরিবার। এখন জেলে যাওয়ার পর কী হয়েছে বলব কীভাবে? জেলে যাওয়ার পর ওর পরিবার যোগাযোগও রাখেনি।” সোমবার লালকেল্লার সামনে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। মৃত্যু হয় একাধিকের। আহত প্রচুর মানুষ। তারপরই গোটা দেশজুড়ে অভিযুক্তদের খোঁজ চালাচ্ছে এনএনআই।
