Sukanta Majumdar: ‘বন্দুক দেখালে গোলাপ দেবেন?’, পাল্টা মারের নিদান সুকান্তর, খোঁচা কুণালের
Sukanta Majumdar: পরে নিজের ওই বক্তব্য নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, "আমাদের সংবিধান বলছে, প্রত্যেকের আত্মরক্ষার অধিকার আছে। রামকৃষ্ণদেবের গল্প পড়লেও দেখবেন, বলা হয়েছে, ছোবল দিও না। কিন্তু, ফোঁস করতে তো অসুবিধা নেই।"

নদিয়া: বিভিন্ন নির্বাচনে রাজ্যে হিংসার ছবি ধরা পড়ে। ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব বিরোধীরা। মারতে এলে এবার পাল্টা মারের নিদান দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। নদিয়ার শান্তিপুরে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেন, “মারতে এলে মেরে এসে আমায় বলবেন। আমি দেখে নেব।”
শনিবার শান্তিপুর থানার ফুলিয়ায় বিজেপির কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন সুকান্ত। সেই বৈঠকে তিনি বলেন, “তৃণমূলকে একদম ভয় পাবেন না। মার খেয়ে এসে বলা কি গর্বের বিষয়? কিন্তু, মেরে এসে সভাপতির সামনে গল্প করুন, দাদা আমাকে মারতে এসেছিল। আমি মেরে ফাটিয়ে দিয়েছি। আমি দেখে নেব। কোনও চিন্তা নেই। আমরা কাউকে মারব না। কিন্তু, কেউ মারতে এলে ছাড়ব না।”
পরে নিজের ওই বক্তব্য নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “আমাদের সংবিধান বলছে, প্রত্যেকের আত্মরক্ষার অধিকার আছে। রামকৃষ্ণদেবের গল্প পড়লেও দেখবেন, বলা হয়েছে, ছোবল দিও না। কিন্তু, ফোঁস করতে তো অসুবিধা নেই। মারতে এলে তো তাকে মারতেই হবে। না হলে বাঁচবেন কী করে? আপনার দিকে কেউ যদি বন্দুক ধরে, আপনি নিশ্চয় গোলাপ দেবেন না। বাঁচার জন্য যা করার করবেন। আমার কর্মীদের তো বাঁচতে হবে। ২০০ জন তো খুন হয়ে গিয়েছে। আর কতজনের জীবন আমরা নষ্ট করব।”
সুকান্ত মজুমদারকে কটাক্ষ করে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “সেজন্যই তো শুনলাম কেশিয়াড়িতে বিজেপির লোকেরা বিজেপির লোকদের মারছে। নিজেদের মধ্যে মারামারি করছে। পরস্পরের নামে নালিশ করছে। সুকান্তবাবু যে বলছেন, দেখতে হবে, পাল্টা দিতে হবে। সবই তো বিজেপির ভিতরের ঘটনা।”

