নদিয়া: গত কয়েকদিন ধরে নাতনির খোঁজ করছিলেন দাদু। পুলিশের দ্বারস্থও হন তিনি। তল্লাশি চলে গ্রামের প্রায় সব প্রান্তে। প্রেমিক ফারুকের সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়ে আর বাড়ি ফেরেননি নাবালিকা। রবিবার সকালে উদ্ধার হল সেই নাবালিকার দেহ। নদিয়ার ভীমপুরের ঘটনা। নাবালিকাকে খুন করার কথা স্বীকার করেছেন তাঁরই প্রেমিক। পুলিশ সূত্রে খবর, শ্বাসরোধ করে খুন করে মাটিতে পুঁতে দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। কী কারণে খুন করা হল, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
শনিবার রাতে ভীমপুর থানার নারায়ণপুরের বাসিন্দা নূর হোসেন ভীমপুর থানায় গিয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি জানান, তাঁর নাতনি গত ২১ তারিখ থেকে নিখোঁজ। নিখোঁজ হওয়ার প্রথমে তিনি আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে খোঁজ করেন। এলাকার বিভিন্ন প্রান্তে খোঁজ করেও নাতনির কোনও খবর পাননি তিনি।
পুলিশ জানতে পেরেছে, নারায়ণপুরের বাসিন্দা ফারুক মণ্ডলের সঙ্গে ওই নাবালিকার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এমনকী তাঁদের একসঙ্গে বেশ ঘনিষ্ঠভাবে ঘোরাঘুরি করতেও দেখা যায় অনেক জায়গায়। নাবালিকাকে দু’দিন আগেও ওই ফারুকের সঙ্গে ঘুরতে দেখা যায়। দাদু এ কথা জানালে ভীমপুর থানার পুলিশ নড়েচড়ে বসে।
তদন্তের শুরুতেই আটক করা হয় ফারুক মণ্ডলকে। শনিবার রাতে তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের সময় ফারুক মণ্ডল জানায় যে তিনিই নাবালিকাকে খুন করেছেন। শ্বাসরুদ্ধ করে মেরে নারায়ণপুর গ্রামে মাটিচাপা দিয়ে রাখার কথাও স্বীকার করে নেয় সে।
যেখানে পুঁতে রাখা হয় বলে অভিযোগ, নারায়ণপুর গ্রামের ওই জায়গায় কঠোর পাহারার ব্যবস্থা করে পুলিশ। রবিবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট মৃতদেহ মাটি থেকে তোলার ব্যবস্থা করে ও ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।