AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Indian Army: ‘আপনি বলতে পারেন ভারতীয় সেনার ধর্ম?’ ভাই হারিয়েও দেশকে বাঁচানোর বার্তা সুবেদার শফিকুলের

Indian Army: প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওতে জঙ্গি হানায় ২৬ পর্যটকের মৃত্যুর পর ফুঁসছে গোটা দেশ। উঠেছে বদলার রব। এই ঘটনার পরই উধমপুরে জঙ্গি নিকেশ অপারেশন নামে ভারতীয় সেনা। সেখানেই সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াইয়ে গুলিবিদ্ধ হন ঝন্টু।

Indian Army: ‘আপনি বলতে পারেন ভারতীয় সেনার ধর্ম?’ ভাই হারিয়েও দেশকে বাঁচানোর বার্তা সুবেদার শফিকুলের
সুবেদার শফিকুল শেখ Image Credit: TV 9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Apr 26, 2025 | 4:02 PM
Share

তেহট্ট: কাঁধে তখন ভাইয়ের কফিনবন্দি দেহ। কিন্তু, চোখে তখনও সেই পুরনো জেদ। পরনে সেনার পোশাক। ভাইকে হারিয়ে মন কাঁদলেও মুখে সেই চেনা কাঠিন্য রেখেই বললেন, “আমরা দেশে শান্তি চাই। যতক্ষণ আমরা বর্ডারে থাকব ততক্ষণ দেশবাসী শান্তিতে থাকবে।” তিনি উধমপুরে জঙ্গিদের গুলিতে নিহত বীর জওয়ান ঝন্টু শেখের দাদা সুবেদার শফিকুল শেখ। কর্মরত মাচিল সেক্টরে। ভাইয়ের মৃত্যুর খবরে যখন গোটা পরিবারে শোকের ছায়া, চোখে জল নিয়ে যখন ঝন্টুকে একবার শেষ দেখা দেখার জন্য গ্রামের মানুষের ঢল নেমেছে তখন দাদা অকপটেই বললেন, “আমার কাছে সবার আগে দেশ, তারপর পরিবার।” 

প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওতে জঙ্গি হানায় ২৬ পর্যটকের মৃত্যুর পর ফুঁসছে গোটা দেশ। উঠেছে বদলার রব। এই ঘটনার পরই উধমপুরে জঙ্গি নিকেশ অপারেশন নামে ভারতীয় সেনা। সেখানেই সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াইয়ে গুলিবিদ্ধ হন ঝন্টু। দুই কাঁধে ও মাথায় গুলি লাগে তাঁর। দ্রুত তাঁকে হেলিকপ্টারে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি। চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ভাইয়ের মৃত্যুর শোক বুকে নিয়েও সম্প্রীতির বার্তা দিচ্ছেন শফিকুল। বলছেন, “আমরা দেশে শান্তি চাই। আমি সৈনিক। আপনি বলতে পারেন সৈনিকের ধর্ম? বলতে পারেন ভারতীয় সেনার ধর্ম? কারও দম আছে! ইন্ডিয়ান আর্মি হিন্দু, মুসলিম, শিখ সব ধর্মের জওয়ানদের নিয়ে তৈরি হয়েছে। আমরা বসে আছি বর্ডারে, আপনারা শান্তিতে থাকুন এটাই চাই। আমার কাছে সবার আগে দেশ, তারপর পরিবার।” 

উধমপুুরে ঠিক কী হয়েছিল তাও টিভি-৯ বাংলার সামনে তুলে ধরেন শফিকুল। ওই দিনের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, “ভাই নেতৃত্ব দিচ্ছিল। পাহাড়ের উপর থেকে ওর উপর অ্যাটাক হয়। যে কোনও হামলাতে যাঁরা নেতৃত্ব দেয় তাঁদের উপর অ্যাটাক সবার আগে হয়। তিন রাউন্ড গুলি চলে। দুই কাঁধে গুলি লাগে, আর একটা একদম মাথায়। দ্রুত ওকে হেলিকপ্টারে করে কমান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওখানেই চিকিৎসকেরা ওকে মৃত বলে ঘোষণা করে দেয়।”