তেহট্ট: পড়শির বাড়িতে গিয়ে লাউ শাক-পালং শাক চুরি করছিল এক যুবক। বিষয়টি দেখে ফেলে বছর চোদ্দর এক নাবালক। এরপর জমির মালিককে সেই বিষয়টি জানিয়ে দেয় সে। অভিযোগ, এরপরই অভিযুক্ত যুবক ওই নাবালককে উলঙ্গ করে গাছে ঝুলিয়ে মারধর করে। শুধু তাই নয়, নাবালককে নির্জয় জায়গায় ডেকে উলঙ্গ করে পোশাক দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধরের অভিযোগ ওঠে যুবকের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছএ তেহট্ট থানার পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে তেহট্ট থানার ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের বেতাই এলাকায়।
নির্যাতিত কিশোরের বাবার অভিযোগ, কয়েকদিন আগে নাবালক গ্রামের একটি পুকুর পাড়ে বসে গেম খেলছিল। সেই সময় গ্রামের এক যুবক পুকুরের পাশে এক সবজি ক্ষেত থেকে লাউ ও পালং শাক চুরি করছিল বলে দাবি। সেটি দেখে ফেলে নাবালক। সেই খবর জমির মালিককে বলে দেওয়ার অভিযোগে প্রায় ১৫ দিন আগে ছেলেকে এক নির্জন জায়গায় ডেকে নিয়ে তার শরীরের পোশাক খুলে সেই পোশাক দিয়ে উলঙ্গ অবস্থায় গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে মারধর এবং যৌন হেনস্থা করে। সেই পৈচাশিক দৃশ্য মোবাইলে ভিডিয়ো করে।
এই ঘটনার পর নাবালক বাড়ি এসে মনমরা হয়ে ছিল। ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করছিল না। সব সময় তার মধ্যে একটি আতঙ্ক লক্ষ্য ছিল। এরপর তাকে জিজ্ঞেস করলে প্রথমে সে কিছুই বলছিল না। নাবালকের বাবা বলেন, “হঠাৎ সুস্থ-সবল ছেলের কী এমন হল আমরা বারবার জানার চেষ্টা করি। অবশেষে গত মঙ্গলবার আমারই এক শুভাকাঙ্ক্ষী মোবাইলে সেই নির্যাতনের ভিডিয়ো আমাকে দেখায়। এরপর ছেলেকে চেপে ধরতেই সমস্ত ঘটনার কথা খুলে বলে। সেদিনই পুলিশে লিখিত অভিযোগ করি।”
অভিযোগ পেয়ে তেহট্ট থানার পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে। তাকে তেহট্ট মহকুমা আদালতে নিয়ে গেলে বিচারক জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) উত্তম ঘোষ জানান, “অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তদন্ত চলছে। দোষ প্রমাণ হলে তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক আইনি পদক্ষেপ করা হবে।”