নদিয়া: দু’ বছর ধরে টার্গেট। কখনও ফোনে, কখনও সামনাসামনি। প্রস্তাব একটাই। তাঁর সঙ্গে সম্পর্কে যেতে হবে। সে সম্পর্ক যে শারীরিক, তাও হাবেভাবে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন অভিযুক্ত। অন্তত তেমনটাই দাবি গৃহবধূর। তিনি সে প্রস্তাবে রাজি হননি। তার মাশুল গুনতে হল ওই গৃহবধূকে। ছুরি দিয়ে মহিলাকে রাস্তায় ফেলে এলোপাথাড়ি কোপানোর অভিযোগ ওঠে। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাঁর সারা শরীরে একাধিক জায়গায় ক্ষত তৈরি হয়েছে। এলাকার মানুষ পাশাপাশি অভিযুক্তকে পাকড়াও করে পুলিশের হাতে তুলে দেন তারা।গুরুতর জখম অবস্থায় চিকিৎসাধীন ওই মহিলা। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়া চাপড়ার।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কোতোয়ালি থানার দৈয়ের বাজার এলাকায় ওই গৃহবধূর বাবার বাড়ি। শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি বাবার বাড়ি থেকে ফিরছিলেন। অভিযোগ, তখনই রাস্তার ওপর তাঁর মুখ চেপে ধরে ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করে বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, যে সময়ে ঘটনাটি ঘটেছে, রাস্তা শুনশান ছিল। কিন্তু আর্তনাদ শুনতে পেয়ে তাঁরা ছুটে আসেন।
রক্তাক্ত অবস্থায় ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে। এলাকার মানুষ অভিযুক্তকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। ওই মহিলার দাবি, গত বছর দুয়েক ধরে অভিযুক্ত যুবক স্বপন বিশ্বাস তাঁকে উত্ত্যক্ত করতেন, কুপ্রস্তাব দিতেন। সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়াতেই এই হামলা বলে অভিযোগ।
অভিযোগ, তিনি যখন বাপের বাড়ি থেকে ফিরছিলেন, তখনই তার উপর ধারাল অস্ত্র নিয়ে চড়াও হয়। তাঁর বুক চেপে ধরে এলোপাথাড়ি ছুরি দিয়ে তাকে আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযুক্তকে হাতেনাতে ধরে কৃষ্ণনগর আদালতে হাজির করে চাপড়া থানার পুলিশ। নিগৃহীতার বক্তব্য, “আমাকে দু’বছর ধরে সব কিছু করতে বলে। আমার জন্য ও নিজের বাড়িতেও অশান্তি করত। তারপরই ছুরি নিয়ে হামলা।”