Nadia: সন্ধ্যা হতেই লাস্যময়ীদের নাচ, উদ্দাম মদ্যপান আর টাকার ফোয়ারা! মহাপ্রভুর পীঠস্থানেই চলছে রঙিন ব্যবসা

Mahadeb Kundu | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Feb 14, 2023 | 12:37 PM

Nadia: অদ্বৈত পাঠের ঢিল ছোড়া দূরত্বে পানশালা তৈরি নিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে।

Nadia: সন্ধ্যা হতেই লাস্যময়ীদের নাচ, উদ্দাম মদ্যপান আর টাকার ফোয়ারা! মহাপ্রভুর পীঠস্থানেই চলছে রঙিন ব্যবসা
দেদার চলছে রঙিন ব্যবসা

Follow Us

নদিয়া: সন্ধ্যা হলেই ‘সুন্দরী’ রমণীদের নাচ গান! চলছে মদ্যপান, উড়ছে টাকা। মহাপ্রভুর পীঠস্থান অদ্বৈত পাঠের ঢিল ছোড়া দূরত্বে পানশালা তৈরি নিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। এক মাসের মধ্যেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বললেন বিধায়ক। বিষয়টি নিয়ে সরব বিরোধীরাও। ঘটনাটি নদিয়ার শান্তিপুর থানার গোবিন্দপুর বাবলা এলাকার। জানা গিয়েছে, শান্তিপুর থানার বাবলা গ্রাম পঞ্চায়েতের পাশেই একটি হোটেলে নতুন করে শুরু হয়েছে পানশালা। যেখানে বেশ কয়েকদিন ধরে সন্ধ্যা হলেই যুবতীদের আনাগোনা। চলছে গান বাজনা। আর সেখানে গ্লাসে চুমুক দিয়ে রঙিন জগতে ভেসে যাচ্ছে যুব সমাজ, দেদার উড়ছে টাকা। স্থানীয় বাসিন্দারাই বলছেন, শান্তিপুর বহু প্রাচীন ঐতিহাসিক শহর ও পীঠস্থান। শান্তিপুরের কৃষ্টি সাংস্কৃতির ইতিহাসে আগে কখনও এই ধরনের পানশালার অনুমতি দেইনি কোনও সরকার। শুধু তাই নয়, যেখানে ঢিল ছোড়া দূরত্বে রয়েছে গ্রাম পঞ্চায়েত, বিদ্যালয়, পাশাপাশি শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর স্থান, সেখানে পানশালা! এই অদ্বৈত পাঠে গোটা দেশ থেকে ভক্তরা যান। আর সেই রকম একটি জায়গায় কীভাবে বানশালার অনুমতি দিল সরকার তাই নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন।

পরিবেশ কর্মী-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এ বিষয়ে। যদিও আইনত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন শান্তিপুরের বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী। তিনি বলেন, “ওই হোটেলটি কুড়ি বছর আগে চালু হয়েছিল তখন বিরোধীরা কোথায় ছিল? আমি আইন পরিষদের একজন সদস্য। সেই কারণেই আমি কী পদক্ষেপ নেব, সেটা নিশ্চয়ই ঢাক ডোল পিটিয়ে করব না। আগামী এক মাসের মধ্যেই কী ব্যবস্থা হয়, সেটা সকলের সামনে পরিষ্কার হয়ে যাবে।” তবে তাঁর এই বক্তব্যকে খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছেন না রাজনৈতিক মহল। তাঁরা আবার কটাক্ষ করতেও ছাড়ছেন না। এ বিষয়ে এ আই ডি ওয়াই ও সংগঠনের তরফ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে শান্তিপুর থানায়। বিজেপি নেতার বক্তব্য, “তৃণমূল বাংলার কৃষ্টিকে নষ্ট করছে। প্রশাসনকে দলদাসে পরিণত করেছে। তাই এসব হচ্ছে। তৃণমূল টাকা ওড়াবে কোথায়? বারে গিয়ে ওড়াচ্ছে। ২০ বছর আগে মোটেও ওখানে এসব হত না।”

Next Article