Nadia: তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের খুনে জগন্নাথ সরকার, মুকুল রায় বেকসুর খালাস হতেই ক্ষোভ উগরে দিল পরিবার
Nadia: সাক্ষী দেওয়ার কথা সত্যজিতের দুই ভাইয়ের। সেখানে তাঁরা সাক্ষী দিতেই যাননি। অন্যরা সাক্ষী দিয়েছেন। সত্যজিৎ বিশ্বাসের ভাই সুজিত বলেন, "এই রাজ্যে ডাক্তার বিক্রি হয়ে যায়, সেই রাজ্যে সাক্ষী বিক্রি হয়নি তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে এই রায়ে খুশি নই।"
নদিয়া: তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের খুনের ঘটনায় বেকসুর খালাস। নদিয়ার হাঁসখালির তৃণমূল নেতা তথা বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত ৫ জন অভিযুক্তর মধ্যে বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার এবং কৃষ্ণনগর উত্তর লোকসভা কেন্দ্রের বিধায়ক মুকুল রায়-সহ একজনকে বেকুসুর খালাস করেছে বিধাননগর আদালত। এই রায় ঘোষণার পরই ক্ষোভ উগরে দিয়েছে মৃত বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের পরিবার। সত্যজিতের স্ত্রী রূপালি বিশ্বাস এখনও আশাবাদী আদালত শাস্তি দেবে অভিযুক্তদের। তিনি অভিযুক্তদের ফাঁসি চান।
অপরদিকে সত্যজিতের মা অঞ্জনা এবং ভাই সুজিত রাজ্যসরকারের উপর দোষ চাপিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কথা দিয়ে ছিলেন দোষীদের শাস্তি হবে। তাহলে কোথায় শাস্তি হল? তারা বেকুসুর খালাস পেয়ে গেল।
সাক্ষী দেওয়ার কথা সত্যজিতের দুই ভাইয়ের। সেখানে তাঁরা সাক্ষী দিতেই যাননি। অন্যরা সাক্ষী দিয়েছেন। সত্যজিৎ বিশ্বাসের ভাই সুজিত বলেন, “এই রাজ্যে ডাক্তার বিক্রি হয়ে যায়, সেই রাজ্যে সাক্ষী বিক্রি হয়নি তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে এই রায়ে খুশি নই।”
সত্যজিতের স্ত্রীর বক্তব্য, “আমি চাই সকলেই শাস্তি পাক।” এর বেশি কিছু বলতে পারলেন না তিনি। ছেলেকে কোলে বসিয়ে কেঁদে ফেললেন। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি, সরস্বতী পুজোর আগের রাতে নদিয়ার হাঁসখালিতে নিজের বাড়ির কাছেই পাড়ার ক্লাবের সরস্বতী পুজোর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে খুন হয়েছিলেন সত্যজিৎ বিশ্বাস। হাঁসখালি থানায় চার জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। গুলি চালানোর অভিযোগে সুজিত মণ্ডল ও কার্তিক মণ্ডল নামে দুজনকে গ্রেফতার। প্রথম চার্জশিটে নাম না থাকলেও, পরে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে সদ্য মুকুল রায় ও জগন্নাথ সরকারের নামে মামলা দায়ের হয়।