নদিয়া: ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন। স্বামী স্ত্রী দু’জন ছিলেন সাইকেলে। তখনই ঘটল অঘটন। পিছনে বসে থাকার সময় ধারাল অস্ত্র দিয়ে খুনের চেষ্টা স্বামীকে গলা কেটে খুনের চেষ্টার অভিযোগ স্ত্রীর। এই ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য এলাকায়। ঘটনার পর থেকে পলাতক স্ত্রী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি স্বামী।
ঘটনাটি ঘটেছে ষষ্ঠীর রাতে। তেহট্ট থানার বেতাই সাধুবাজার বেতাই পলাশী রাজ্য সড়কের পরিত্যক্ত হাসপাতালে সামনে। স্থানীয় সূত্রে খবর, ঠাকুর দেখে ফেরার সময় পথ চলতি মানুষ দেখতে পান রাস্তার পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় এক ব্যক্তি পড়ে রয়েছেন। তাঁরা প্রথমে ভেবেছেন দুর্ঘটনা ঘটেছে। পুজো উপলক্ষে কিছুটা দূরে ছিল পুলিশের গাড়ির টহলদারি। স্থানীয় মানুষ তাড়াতাড়ি ঘটনাস্থলে এসে দেখেন গলার নলিকাটা, রক্তে সারা শরীর ভেসে যাচ্ছে এক ব্য়ক্তি। এরপর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, আহত ব্যক্তির নাম সুকান্ত পাল। অভিযুক্ত স্ত্রী সন্ধ্যা পাল। আহত ব্যক্তির বয়ান অনুযায়ী, সাইকেলের পিছনে বসে গলার নলি কেটে দেন তাঁর স্বামী। ঘটনার পর লোকজন জমতে দেখেন স্ত্রী সন্ধ্যা পাল। তড়িঘড়ি ছোট সন্তানকে নিয়ে পালাতে থাকেন। যদিও বেশি দূর এগোতে পারেননি। সেই সময় পুলিশ গিয়ে তাঁকে ধরে ফেলেন। আহত ব্যক্তি উদ্ধারকারীদের জানায় আমাকে এভাবে না মারলেই পারত।
ঘটনাস্থলে পড়ে রয়েছে চাক চাক রক্ত, এবং একজোড়া লেডিস চটি। দ্রুত আহত ব্যক্তিকে কৃষ্ণনগর শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বিধায়ক তাপস সাহা জানান আহত ছেলেটি ওর স্ত্রীর নাম বলে গিয়েছে। উক্ত মহিলার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।