AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Self hanging in Nadia: ‘অর্পিতা চিরবিদায়…’, লাল কালি দিয়ে ডায়রিতে নাম লিখে চলে গেলেন বাপন

Nadia News: বৃহস্পতিবার ভোররাতে হঠাৎ পরিবারের লোকজন চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন। এরপরই এলাকাবাসী ছুটে এসে দেখেন ঘরের ভিতরেই ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছেন ওই যুবক। তড়িঘড়ি উদ্ধার করে থাকে প্রথমে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয় বাসিন্দারা।

Self hanging in Nadia: 'অর্পিতা চিরবিদায়...', লাল কালি দিয়ে ডায়রিতে নাম লিখে চলে গেলেন বাপন
নদিয়ায় মর্মান্তিক ঘটনাImage Credit: Tv9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Aug 21, 2025 | 3:06 PM
Share

নদিয়া: ভোরবেলা হতেই তুমুল হইচই-চিৎকার। আশপাশ থেকে ছুটে এলেন এলাকাবাসী। তাঁরাও স্তম্ভিত। কারণ, ঘরের ভিতর গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন বছর তিরিশের যুবক। বিছানায় পড়ে রয়েছে সুইসাইড নোট। লাল কালি দিয়ে সেই ডায়েরিতেই যা লেখা তা মানতে পারলেন পরিবারের সদস্যরা। নদিয়ার শান্তিপুর থানার অন্তর্গত নৃসিংহপুর বাবলা বোন এলাকায়। যুবকের নাম বাপন বিশ্বাস। বয়স তিরিশ বছর। ওই যুবক বর্তমানে ধান সিদ্ধ এবং শুকনো করার কাজ করতেন।

বৃহস্পতিবার ভোররাতে হঠাৎ পরিবারের লোকজন চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন। এরপরই এলাকাবাসী ছুটে এসে দেখেন ঘরের ভিতরেই ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছেন ওই যুবক। তড়িঘড়ি উদ্ধার করে থাকে প্রথমে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রাথমিক চিকিৎসার পর যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় শান্তিপুর থানার পুলিশ। পুলিশ হাসপাতাল থেকে ওই যুবকের মৃতদের উদ্ধার করে আজ ময়নাতদন্তের জন্য রানাঘাট মহাকুমা হাসপাতালে পাঠায়।

পরিবারের তরফে জানানো হয় ওই যুবক মৃত্যুর আগে একটি ডাইরিতে লাল কালি দিয়ে তিন পৃষ্ঠায় নিজের গোপন কথা জানিয়ে গিয়েছেন। যেখানে লেখা রয়েছে, অর্পিতা নামের একজনের নাম। সেই লেখা দেখেই পরিবারের সন্দেহ হয়, হয়ত অর্পিতার সঙ্গে ওই যুবকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্কে কোনও ঝামেলা হওয়ার কারণেই এই ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে ওই যুবক। তবে তিন পাতার লেখা ওই ডাইরিটি পুলিশের হাতে ইতিমধ্যে তুলে দিয়েছে পরিবার। ওই ডাইরি দেখে এবং পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পুরো ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মৃতের দাদা বলেন, “আমরা এটা দেখার পরই নামিয়ে আনি। তারপরই হাসপাতালে নিয়ে যাই। কিন্তু বাঁচানো গেল না। একটা ডায়রি পেয়েছে। সেখানে অর্পিতা নামের একটি মেয়ের নাম রয়েছে।রাত সাড়ে তিনটে অবধি কথা হয়েছে। হয়ত সম্পর্ক ছিল ওদের।”