নদিয়া: নারী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্নের আবহেই হাড়হিম ঘটনা নদিয়ার কৃষ্ণনগরে। অগ্নিদগ্ধ বিবস্ত্র অবস্থায় এক তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। একটি মহিলা পরিচালিত পুজো প্যান্ডেলের কাছে তরুণীর দেহ মিলেছে। এলাকাবাসীর দাবি, তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে।
তিলোত্তমার ঘটনা নিয়ে যখন উত্তাল রাজ্য, সেই আবহে দুর্গাপুজোর মণ্ডপেরই কাছে উদ্ধার হল তরুণীর দেহ। পুলিশের অনুমান মেয়েটিকে অন্যত্র খুন করা হয়েছে। তারপর প্রমাণ লোপাটের জন্য তাঁর মুখ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এখনও তরুণীর পরিচয় জানা যায়নি। পরিবারের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শক্তিনগর জেলা হাসাপাতালে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “এক মহিলাকে এখানে মেরে ফেলে দিয়ে গিয়েছে। মুখটা পুড়িয়ে দিয়ে গিয়েছে। সকালবেলা কয়েকজন এসে জানায় যে ওইখানে মেয়ে পড়ে আছে না পুতুল পড়ে আছে বোঝা যাচ্ছে না। তারপর পুলিশ আসল। খুব বেশি বয়স হবে না। মনে হল কেরোসিন তেল ঢেলে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।”
অবসরপ্রাপ্ত প্রাক্তন পুলিশ কর্তা অরিন্দম ভট্টাচার্য, “এটা এখন মারাত্ম প্রবণতা, কেন মহিলা পরিচালিত পুজো হবে? কেউ যদি মনে করে মুখ পোড়ানোর পর চেনা যাবে না, তাহলে বলে রাখি এখন পুলিশের কাজ হচ্ছে মিসিং লিঙ্ক খুঁজে বের করে ডিএনএ টেস্ট করা। তখনই সবটা জানা যাবে।”