Nadia: সাত পুরুষ পর ‘সিডিউল কাস্ট’ গ্রামবাসীরা পা রাখলেন শিব মন্দিরে, হাইকোর্টের নির্দেশে ভাঙল রীতি
Calcutta High Court: দীর্ঘদিন ধরে দাস সম্প্রদায়ের লোকজনেদের ওই মন্দিরে ঢুকতে বাধা দিতেন সেবায়েতরা। সেই নিয়ে একাধিকবার প্রশাসনের দরবারে মাথা ঠুকেও কোনও লাভ হয়নি।

নদিয়া: দীর্ঘদিনের আইনি লড়াই শেষ। প্রায় সাত পুরুষ পর উচ্চ আদালতের নির্দেশ মেনে শিব মন্দিরে পা রাখলেন তফশিলি জাতি তথা দাস সম্প্রদায়ের লোকজন। হাইকোর্টের নির্দেশে ইতি টানা হল দীর্ঘ সময়ের রীতিতে। পুজোও দিলেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার কড়া পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল ওই মন্দিরে।
নদিয়ার কালীগঞ্জ ব্লকের পালিতবেঘিয়ার বৈরামপুর গ্রামে ওই শিব মন্দির নিয়ে মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। দীর্ঘদিন ধরে দাস সম্প্রদায়ের লোকজনেদের ওই মন্দিরে ঢুকতে বাধা দিতেন সেবায়েতরা। সেই নিয়ে একাধিকবার প্রশাসনের দরবারে মাথা ঠুকেও কোনও লাভ হয়নি। পুজো করার অধিকার থেকে দিনের পর দিন বঞ্চিত হয়েছেন তাঁরা। পরে দাস সম্প্রদায়ের লোকজন হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। হাইকোর্টের বিচারপতি নির্দেশ দেন পুলিশ যাতে সহযোগিতা করে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নও তোলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।
গত বুধবার জেলা পুলিশ ও স্থানীয় পুলিশ ওই গ্রামের দুই পক্ষের (অভিযোগকারী ও সেবায়েতরা) সঙ্গে আলোচনায় বসে। ওই আলোচনা সদর্থক হয় বলেও জানা গিয়েছে। তারপরই বৃহস্পতিবার পুলিশের নিরাপত্তায় দাস সম্প্রদায়ের লোকজনেরা পুজো দিতে পারলেন।
বাংলার বুকে এমন অভিযোগ রয়েছে শুনে রীতিমতো অবাক হয়েছিলেন বিচারপতি। তিনি বলেছিলেন, “বলতে বাধ্য হচ্ছি যে এটা পুলিশের অক্ষমতা। ওসি নয়, কোনও সিনিয়র অফিসারকে দায়িত্ব নিতে হবে।” এই ঘটনার পিছনে কী কারণ, তা খতিয়ে দেখে বিস্তারিত রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।





