শান্তিপুর: শান্তিপুর (Shantipur) ডাকঘর বাস স্ট্যান্ড চত্বর। এলাকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি এলাকা। একটি বাজারও রয়েছে সেখানে। বাজার চত্বরে ভাষা শহীদদের উদ্দেশে একটি বেদীও করা রয়েছে। আর তার পিছনেই চলছিল সাট্টার বোর্ড লেখার কাজ। আর তা দেখতে পেয়েই বাইক থামিয়ে একাই দৌড়ে যান খোদ শান্তিপুর পুরসভার (Shantipur Municipality) চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষ। নিজেই এগিয়ে গিয়ে বন্ধ করান বোর্ড লেখার কাজ। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই দৌড়ে গিয়ে ধরে ফেলেন এক জুয়া কারবারিকে। এই অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারিও দেন চেয়ারম্যান। কড়া ভাষায় ধমকও দিলেন। শাসিয়ে বললেন, এরকম কাজ করতে থাকলে তার কপালে কষ্ট আছে।
এর পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সুব্রতবাবু জানালেন, শান্তিপুর পৌরসভা কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে শান্তিপুর জুড়ে কোনও বেআইনি কাজকর্ম তাঁরা করতে দেবেন না। আর এরকম অভিযান দিনের পর দিন তিনি চালিয়ে যাবেন, যতদিন না এই বেআইনি কার্যকলাপ বন্ধ হচ্ছে। উল্লেখ্য, শান্তিপুর পুর এলাকায় এর আগেও বিভিন্ন জায়গায় জুয়া ও সাট্টা, সেই সঙ্গে বেআইনি মদের রমরমা আসর বেড়ে চলছিল বলে অভিযোগ উঠছিল। পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছিল বিভিন্ন মহল। এমন অবস্থায় এবার নিজেই তৎপর হয়ে অভিযানে নামলেন শান্তিপুর পুরসভার পৌরপতি। খোদ পুরসভার চেয়ারম্যানের এই উদ্যোগ স্বাভাবিকভাবেই যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।
উল্লেখ্য, পুরপিতা সুব্রতবাবুর এমন অভিযান এই প্রথম নয়। এর আগেও শান্তিপুর সূত্রাগড় অঞ্চলে তিনি বেআইনি জুয়া সাট্টার ঠেকে হানা দিয়েছিলেন। অতর্কিত হানায় বন্ধ করে দিয়েছিলেন ওই এলাকার সমস্ত বেআইনি জুয়া ও সাট্টার ঠেক। সেরকমভাবে আজ সকালেও বাইক চড়ে পৌরসভা যাওয়ার পথে শান্তিপুরের ডাকঘর বাস স্ট্যান্ড চত্বরে হানা দেন তিনি। আগামী দিনেও একইভাবে এইরকম অভিযান চলবে, এমন বার্তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন পুরসভার চেয়ারম্যান।