Tapas Saha: ‘এবি-র অফিসে ঢুকলে চাকর দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয়’, সিবিআই তদন্তের নির্দেশের পর বিস্ফোরক তাপস

Sourav Dutta | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Apr 20, 2023 | 1:06 PM

Tapas Saha: বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন দলের 'সেকেন্ড ইন কম্যান্ডের' বিরুদ্ধেও। বুধবার তেহট্টের বাড়িতে বসে তাপস সাহা দাবি করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া দলে কেউ নেই, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে গেলে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।

Tapas Saha: এবি-র অফিসে ঢুকলে চাকর দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয়, সিবিআই তদন্তের নির্দেশের পর বিস্ফোরক তাপস
তাপস সাহা, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

Follow Us

তেহট্ট: নিয়োগ দুর্নীতিতে এবার তাঁর বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। এরপরই TV9 বাংলার প্রতিনিধিকে প্রথম সাক্ষাৎকার দিলেন তেহট্টের বিধায়ক তাপস সাহা। কিন্তু কথা প্রসঙ্গে তিনিই ক্ষোভ উগরে দিলেন দলের একাংশের বিরুদ্ধে। বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন দলের ‘সেকেন্ড ইন কম্যান্ডের’ বিরুদ্ধেও। বুধবার তেহট্টের বাড়িতে বসে তাপস সাহা দাবি করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া দলে কেউ নেই, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে গেলে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।

হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পর কি দলের তরফে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে? এই প্রশ্ন আমাদের প্রতিনিধি করেছিলেন। উত্তরে তাপস সাহা করেন বিস্ফোরক মন্তব্য। তিনি বলেন, “দল কোনও গাইডেন্স-পরামর্শ দেয়নি।” তিনিই পাল্টা প্রশ্ন করেন, “শীর্ষস্তরীয় নেতা বলতে আপনি কাকে বোঝেন?” তাঁর সংযোজন, “দিদি। দিদিকে আমি শ্রদ্ধা করি। তিনি ব্যতিক্রমী। যেভাবে বাংলায় তিনি লড়াই করছেন, তাতে তিনিই আমাদের একমাত্র নেত্রী। তিনি দেবতার থেকে বেশি। মমতার পর আমি আর কাউকে মনে করি না। সিঙ্গুর, ভাঙড়, নন্দীগ্রাম-প্রত্যেকটা আন্দোলনেই গিয়েছি। কাউকে দেখিনি সেখানে।” দলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড সম্পর্কে তিনি বলেন, “তিনি আমার সঙ্গে কখনও কথা বলেননি। আর অফিসে গেলেও চাকর-বাকর দিয়ে বার করে দেওয়া হয়। কলকাতার ক্যামাক স্ট্রিটের এবি অফিস থেকে বার করে দেওয়া হত।”

তাপস সাহার এই মন্তব্যে যথেষ্টই শোরগোল তৈরি হয়। প্রতিক্রিয়া জানতে প্রশ্নটা করা হয় তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে। তাঁর বক্তব্য, “তাপস সাহা এগুলো ঠিক বলছেন না । কেউ কাউকে অফিস থেকে বের করে দেয় না । এখন কোনও মিটিং থাকলে হয়ত দেখা করতে পারেনি । তাই বলে এই মন্তব্য ঠিক না।” আপাতত তাপসের মন্তব্যে শোরগোল।