তেহট্ট: ছদ্মবেশে হানা দিয়ে জাল শংসাপত্র চক্র ফাঁস করলেন ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার বা বিডিও। নদিয়া জেলার তেহট্ট ২ নম্বর ব্লকের বিডিও শুভাশিস মজুমদার এই চক্র ফাঁস করেছেন। জাল চক্র ফাঁসের পাশাপাশি সেই চক্রের দুই পান্ডাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্য এক জন জেরক্সের দোকানের মালিক এবং অপর জন প্যারা টিচার। জেরক্সের দোকান থেকেই অবৈধভাবে শংসাপত্র বিক্রি করা হত বলে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। ঘটনার তদন্তও শুরু করেছে পুলিশ।
তেহট্টের বিডিও গোপন সূত্রে খবর পেয়েছিলেন একটি জেরক্সের দোকান থেকে জাল শংসাপত্র দেওয়া হচ্ছে। তেহট্টের মৃগী এলাকার ওই দোকান থেকে বিড়ি শ্রমিকদের জাল শংসাপত্র দেওয়া হচ্ছে বলে জানতে পারেন তিনি। কিন্তু খোঁজ নিয়ে তিনি জানতে পারেন, সরকার থেকে বিড়ি শ্রমিকদের শংসাপত্র দেওয়ার কাজ কয়েক বছর আগেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এই খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নাজিরপুর পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীদের নিয়ে ওই জেরক্সের দোকানে হানা দেন তেহট্ট-১ এর বিডিও শুভাশিস মজুমদার। গলায় গামছা। পরনে গেঞ্জি। ছদ্মবেশে ওই জেরক্স দোকানে যান বিডিও। শংসাপত্র করতে চান বলে জানান। তারপরই ফাঁস হয় ওই চক্র।
বিডিও জানিয়েছেন, জেরক্সের ওই দোকান থেকে মহকুমা শাসকের জাল সই করা বেশ কিছু নথি উদ্ধার হয়। এর পরই দোকানের মালিক জয়ন্ত মিস্ত্রিকে গ্রেফতার করে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেতাই নতুনপাড়ার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ দাসের খোঁজ পায় পুলিশ। ওই ব্যক্তির বাড়িতে হানা দিয়ে প্রচুর জাল সংশাপত্র, জাল স্ট্যাম্প এবং নগদ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার হয়। বিশ্বজিৎ পেশায় একটি জুনিয়র গার্লস হাই স্কুলের প্যারা টিচার বলে জানা গিয়েছে। অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেফতার করে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।