Shantipur-Krishnanagr City Local: চাওয়ালার হাতে রেলের দায়িত্ব? ট্রেন এলে কেটলি ফেলে গেটম্যান হয়ে যান ননীগোপাল
Nadia: শান্তিপুর থেকে কৃষ্ণনগর পর্যন্ত রেল পথ ন্যারোগেজ থেকে পরিবর্তন হয়ে ব্রডগেজ রুপান্তর হয়েছে। অথচ মানুষের সুরক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সড়কে নেই রেলগেট। শান্তিপুর থানার বেলডাঙা মোড়ের ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের সংযোগকারী গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য সড়কের উপরই রয়েছে রেলপথ।
নদিয়া: রাজ্য সড়কের উপর থেকে চলে গিয়েছে রেললাইন। কিন্তু রেলগেট নেই। ঠিক তার পাশেই রয়েছে ছোট এক চায়ের দোকান। আর সেই দোকান থেকেই সংসার চালান ননীগোপাল দেবনাথ। কিন্তু দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে তাই বিনা পারিশ্রমিকেই গেটম্যানের কাজ করেন তিনি। না ননীগোপালবাবুকে রেলকর্মী ভেবে ভুল করবেন না। তিনি একজন চা ব্যবসায়ী। তবে সাধারণ মানুষের যাতে বিপদ না হয় সেই কারণে দীর্ঘদিন ধরে এই কাজ করে চলেছেন।
শান্তিপুর থেকে কৃষ্ণনগর পর্যন্ত রেল পথ ন্যারোগেজ থেকে পরিবর্তন হয়ে ব্রডগেজ রুপান্তর হয়েছে। অথচ মানুষের সুরক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সড়কে নেই রেলগেট। শান্তিপুর থানার বেলডাঙা মোড়ের ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের সংযোগকারী গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য সড়কের উপরই রয়েছে রেলপথ। আর এই রেলপথের উপরে নেই কোনও রেলগেট। যে পথ দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ও গাড়ি যাতায়াত করে, সেই রেলপথে গেট না থাকার জন্য যে কোনও মুহূর্তে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।
আর দুর্ঘটনা রুখতেই বদ্ধ পরিকর রেলগেটের পাশে একজন চা বিক্রেতা ননীগোপাল দেবনাথ। দীর্ঘ ২৬ বছর ধরে স্বেচ্ছায় বিনাশ্রমে প্রতিদিন তিনি রেলগেটের গেটম্যানের কাজটি করে চলেছেন সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে।
যখন ওই লাইন দিয়ে ট্রেন যাতায়াত করে, তখন ওই ব্যক্তি রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে দু’দিকের মানুষকে হাত দেখিয়ে দাঁড় করান। সচেতন করেন। ট্রেন চলে গেলে আবার সবাইকে যাতায়াতের ব্যবস্থা করে দেন। ঝড় বৃষ্টি জলকে উপেক্ষা করে প্রতিনিয়ত করে চলেছেন এই কাজটি।
এ প্রসঙ্গে শান্তিপুর স্টেশন যদিও জানিয়েছেন, তিনি কিছুই বলতে পারবেন না। ননীগোপালবাবু জানালেন, “এখানে দুই টাইম ট্রেন যায়। মানুষের যাতে দুর্ঘটনা না ঘটে সেই কারণে গেটম্যানের কাজ করি। আমি নিজের ইচ্ছায় করি। এর জন্য রেলের তরফে কখনও সংবর্ধনাও দেওয়া হয়নি। আর চাকরিও দেয়নি। আমার দোকানদারি করে যা রোজগার হয় তাতেই চলে যায়।”