নদিয়া: “মা আমাকে ক্ষমা করে দিও। আমি তোমাকে ছেড়ে অনেক দূর চলে যাচ্ছি। আমি আবার দশ বছর নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে বাড়ি ফিরব। যে টাকা আমি নিয়ে গেলাম তার জন্য আমাকে ক্ষমা করে দিও।” মাকে এই চিঠি লিখে বাড়ি ছাড়ল নদিয়ার অষ্টম শ্রেণির এক পড়ুয়া। সঙ্গী আরও দুই বন্ধু। একই দিনে নদিয়ার (Nadia) তাহেরপুর থানার অন্তর্গত বাদকুলয় একইদিনে তিন ছাত্র নিখোঁজ (3 Students Missing) হয়ে যাওয়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। নিখোঁজ হওয়া তিন স্কুল পড়ুয়ার মধ্যে দুজনের বাড়ি বাদকুল্লার আশ্রমপাড়ায়। একজনের নাম অপূর্ব দাস, অপর জনের নাম দেব বিশ্বাস। দুজনেরই বয়স ১৪। বাদকুল্লা ইউনাইটেড একাডেমিতে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ছিল দুজনেই।
আর এক ছাত্র সায়ন সরকারের বাড়ি শান্তিপুরে। এদের মধ্যে মাকে ওই চিঠি লিখেছে দেব। পরিবারের দাবি, গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে তিন বন্ধু। পরিবারের অনুমান, প্রলোভন দেখিয়ে কোনও দুষ্টচক্র চক্রের লোকেরা তাদের অপহরণ করেছে। নিখোঁজ তিন ছাত্রের মধ্যে দেবের বাবা অনল বিশ্বাস পেশায় হোটেল ব্যবসায়ী। অপূর্বের বাবা অসীম দাস পেশায় আনাজ ব্যবসায়ী। কিছুটা দূরে শান্তিপুর থানার অন্তর্গত বোয়ালিয়া বাগানপাড়া এলাকার ছাত্র সায়ন সরকার আরবান্দি নেতাজি বিদ্যাপীঠের ছাত্র বলে জানা যাচ্ছে।
সূত্রের খবর, অপূর্ব-দেবের সঙ্গে বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টায় বাদকুল্লায় এক গৃহশিক্ষকের বাড়ি পড়তে যাওয়ার নাম করে বের হয় সায়ন। বের হওয়ার সময় প্রত্যেকেই একটি করে জামা এবং প্যান্ট নিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তারপর থেকে আর কেউ ফেরেনি বাড়ি। এরমধ্যে দেব বাড়ি থেকে একটি এটিএম নিয়েছে বলে খবর। যা থেকে ইতিমধ্যেই ২ হাডার টাকা তোলা হয়েছে। বাকিরা বাড়ি থেকে কোনও টাকা নেয়নি। তিন ছাত্রের খোঁজ বৃহস্পতিবার থেকে এলাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গা, স্টেশন, এমনকী আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতেও খোঁজ চলে। কিন্তু, কোথাও তাদের কোনও খোঁজ না মেলায় এদিন তাঁদের পরিবারের সদস্যরা শান্তিপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন।