নদিয়া: একদিকে কোচবিহারে যখন এক দম্পতিকে নারকীয়ভাবে বাড়িতে ঢুকে খুন করার অভিযোগ উঠল। অন্যদিকে তখন নদিয়াতেও (Nadia) নৃশংস হত্যাকাণ্ড। শাসকদলের এক সমর্থককে গুলি করে খুনের অভিযোগ ঘিরে শুক্রবার সকাল থেকে তুমুল উত্তেজনা হাঁসখালির ছোট চুপরি বাজার এলাকায়। এদিন সকালে বাজার করতে গিয়েছিলেন আমোদ আলি বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তি। প্রকাশ্য রাস্তায় তাঁর উপর নির্বিচারে চলে গুলি। পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের উত্তপ্ত হচ্ছে বাংলায়। জেলায় জেলায় হিংসার অভিযোগ। আর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে থাকছে। জানা গিয়েছে, বড় চুপড়ি এলাকায় বাড়ি ওই তৃণমূল সমর্থকের। এদিন সকালে ছোট চুপড়ি বাজারে গিয়েছিলেন তিনি। অভিযোগ, দু’টি মোটরসাইকেল তাঁর পাশে এসে দাঁড়ায়। অভিযোগ, এরপরই মোটরসাইকেলে আসা দুষ্কৃতীরা এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। একেবারে সামনে থেকে চলে গুলি। মুহূর্তে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ওই তৃণমূল সমর্থকের রক্তাক্ত দেহ। এদিকে ততক্ষণে বাইক নিয়ে চম্পট দেয় আততায়ীরা।
গুলিবিদ্ধ ওই ব্যক্তিকে বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে হাঁসখালি থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। কী কারণে গুলি করা হল, ইতিমধ্যেই তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করছে পুলিশ। সাতসকালে প্রকাশ্য বাজারে এমন গুলি চলার ঘটনায় তাজ্জব এলাকার লোকজন।
হাঁসখালি ব্লক-২’র নেতা শিশির রায় বলেন, “আমি তো বগুলায় থাকি। খবর পেলাম গুলি চলেছে। বেরিয়ে আসতে আসতে শুনি হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছে। তারপর তো শুনলাম মারা গিয়েছে। ও চাষ করত। সঙ্গে আমাদের দলের সমর্থকও ছিল। মিছিল মিটিংয়ে যেত। তবে জানি না কেন এরকম হল। কারণ, ওর ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে খুব একটা জানি না। তবে যা শুনেছি মোটরবাইকে এসেছিল ৫ জন। একটা বাইকে ২ জন, আরেকটায় ৩ জন। শুনলাম পান কিনছিল। সে সময় বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চলে।”