AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Fraud Case: ‘আমার কোনও আপ্ত সহায়ক নেই, হাজার হাজার ভাইয়ের মধ্যে ও একজন’, ধৃত প্রবীর প্রসঙ্গে দাবি তৃণমূল বিধায়কের

Nadia: ২০১৬ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত পলাশিপাড়ার বিধায়ক ছিলেন তাপস সাহা। অভিযোগ, সেই সময় চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা তোলা হয়।

Fraud Case: 'আমার কোনও আপ্ত সহায়ক নেই, হাজার হাজার ভাইয়ের মধ্যে ও একজন', ধৃত প্রবীর প্রসঙ্গে দাবি তৃণমূল বিধায়কের
| Edited By: | Updated on: Apr 30, 2022 | 5:24 PM
Share

নদিয়া: সরকারি চাকরির টোপ দিয়ে লক্ষাধিক টাকার জালিয়াতি। অভিযোগ, সেই ঘটনায় তেহট্টের তৃণমূল বিধায়কের আপ্ত সহায়ক-সহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। এদিকে এই ঘটনার পরই আপ্ত সহায়কের কথা অস্বীকার করেন বিধায়ক তাপস সাহা। তিনি বলেন, তাঁর আপ্ত সহায়ক নেই। ধৃত প্রবীর কয়াল তাঁর ঘনিষ্ঠ। তাঁদের দীর্ঘদিনের পরিচিতি। তাপস সাহার কথায়, “আমার আপ্ত সহায়ক তো কেউ ছিল না, কোনওদিনই ছিল না। প্রবীরের সঙ্গে পরিচয় ছিল। ও ছোট ভাইয়ের মতো। আমার তো এরকম হাজার হাজার ভাই আছে। কেউ যদি দোষ করে থাকে, আইন তার যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবে। আমার বিধানসভার মধ্যে প্রবীর থাকত। ওর সঙ্গে আমার পরিচয়ও আছে। কিন্তু শ্যামল বা অন্য কারও সঙ্গে আমার পরিচয় নেই। আমি বলতে পারব না।” বিধায়ক গোটা বিষয়টি ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের। তবে টাকা আত্মসাতের যে অভিযোগ উঠেছিল, তাতে তাপস সাহার নামও জড়ায়। ফলে বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই বিরোধীরা সুর চড়াতে শুরু করেছে।

সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “তৃণমূলের অভ্যন্তরেই এ নিয়ে বহু প্রশ্ন উঠেছে। চাকরির জন্য টাকা নিয়েছে এখন চাকরি দিতে পারছে না। তা হলে টাকা ফেরাক। এখন তৃণমূলের নেতারা কেন চুপ করে আছেন। কেউ কেউ পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তৃণমূলের নেতাদের যে পালাতেই হবে, এটা যেন তেহট্টের বিধায়কও মনে রাখেন, তাঁর ছোট বাহিনী মনে রাখেন, কালীঘাটের সকলেও যেন মনে রাখেন। তৃণমূলের এই বাহিনীকে তাড়া খেয়ে পালাতে হবে। কোনও মানুষ ছাড়বেন না।”

যদিও প্রবীর কয়ালের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে তৃণমূলের আরেক বিধায়ক মদন মিত্র বলেন, “দুর্নীতি দমন শাখা রাজ্য পুলিশের। তারাই গ্রেফতার করেছে। ফলে এ কথা স্পষ্ট রাজ্য পুলিশ অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে। তবে এটাই ভুললে চলবে না, সমস্ত অভিযুক্ত দোষী নয়। পুরোটাই প্রমাণ সাপেক্ষ। তবে রাজ্য পুলিশকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, কাউকে রেয়াত করবে না। সে যেই হোক। যে টাকা নিয়েছে চাকরি দেওয়ার জন্য বা কিছু কাউকে রেয়াত করা যাবে না।”

২০১৬ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত পলাশিপাড়ার বিধায়ক ছিলেন তাপস সাহা। অভিযোগ, সেই সময় চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা তোলা হয়। অভিযোগ, বিধায়ক ও তাঁর সঙ্গীরা এই টাকা নেন। পরে চাকরি, টাকা কোনওটাই পাননি। এই নিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চিঠিও দেন প্রতারিতরা। ঘটনার তদন্তে যায় সিআইডি। এরপরই শুক্রবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি থেকে গ্রেফতার করা হয় প্রবীর কয়াল, শ্যামল কয়াল ও সুনীল মণ্ডল। অভিযোগ, প্রবীর কয়াল তাপস সাহার দীর্ঘ দিনের আপ্ত সহায়ক। যদিও প্রবীরের গ্রেফতারির পর সে কথা অস্বীকার করেছেন বিধায়ক।

আরও পড়ুন: Fraud Case: সরকারি চাকরির নামে টাকা আত্মসাৎ, তৃণমূল বিধায়কের আপ্ত সহায়ক গ্রেফতার