Krishnanagar: জগদ্ধাত্রী ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন ছেলে, বাড়ি ফিরে মায়ের অবস্থা দেখেই চিৎকার…
Nadia: মৌসুমী বিশ্বাস জানিয়েছেন, শুক্রবার মা শোভা বিশ্বাস বাড়িতেই ছিলেন। ভাই অক্ষয় বিশ্বাস কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী ঠাকুর দেখতে গিয়েছিলেন। বাড়ি ফিরে দেখেন ঘরের মধ্যে মা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এরপর অক্ষয় চিৎকার করেন, তা শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে যান।

কৃষ্ণগঞ্জ: জগদ্ধাত্রী পুজোয় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে এক মহিলাকে খুন। নৃশংসভাবে মাথায় আঘাত করে এক বিধবা দিনমজুর গৃহবধূকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। কী কারণে খুন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁর মৃত্যু হয়। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের ঘটনা।
জানা গিয়েছে, জগদ্ধাত্রী পুজো দেখতে বাড়ির বাইরে গিয়েছিলেন ওই গৃহবধূর ছেলে। সেই সময় বাড়িতে কেউ ছিলেন না। অভিযোগ, ওই ফাঁকা বাড়িতে নৃশংসভাবে খুন করা হয় ওই গৃহবধূকে। নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের রবীন্দ্রনগরের ঘটনা। মেয়ে মৌসুমী বিশ্বাস বিবাহ সূত্রে ভীমপুর থানার নতুন পাড়ায় থাকেন। মেয়ের বাড়ি শাকিলা পাইকপাড়ার রাজ্য সড়কের একপাশে। অন্যপাশে কৃষ্ণগঞ্জ থানার রবীন্দ্রনগর। রাস্তার দুই পাশে দুই থানা এলাকায় থাকেন মা ও মেয়ে।
মৌসুমী বিশ্বাস জানিয়েছেন, শুক্রবার মা শোভা বিশ্বাস বাড়িতেই ছিলেন। ভাই অক্ষয় বিশ্বাস কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী ঠাকুর দেখতে গিয়েছিলেন। বাড়ি ফিরে দেখেন ঘরের মধ্যে মা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এরপর অক্ষয় চিৎকার করেন, তা শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে যান। প্রতিবেশীরা তৎক্ষণাৎ রক্তাক্ত অবস্থায় ওই মহিলাকে কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে রেফার করে। সেখানে অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় এনআরএসে পাঠানো হয় ওই গৃহবধূকে। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর মায়ের।
মায়ের মৃত্যুর এই ঘটনায় মেয়ে কৃষ্ণগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বাড়িটিকে ঘিরে রাখা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা ভারী বস্তু দিয়ে হামলা চালিয়েছে। প্রতিবেশী মনোজ কুমার বিশ্বাস বলেন, “আমরা এই ঘটনায় আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। আমরা চাই, অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করা হোক এবং শাস্তি দেওয়া হোক। এই ধরনের ঘটনা এর আগে কখনও এলাকায় ঘটেনি।”
জানা গিয়েছে, গৃহবধূর আর্থিক অবস্থা ভাল নয়। সংসার চালাতে তিনি দিনমজুরের কাজ করেন। বাড়িতে ছেলে এবং তিনি থাকতেন। কেন এভাবে খুন করা হল, তা স্পষ্ট নয়।
