Maynaguri Physical Assault: ময়নাগুড়ি শ্লীলতাহানি কাণ্ডে নয়া মোড়, ‘সুর’ বদলের পর তৃণমূল নেতার হাত ধরে থানায় মৃত নাবালিকার বাবা
Maynaguri Physical Assault: ময়নাগুড়িতে নির্যাতিতা নাবালিকার মৃত্যুর পর সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেও সুর বদলাতে দেখা গিয়েছিল বাবাকে। এমতাবস্থার তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে থানায় যাওয়ায় শুরু হয়েছে নতুন চাপানউতর
ময়নাগুড়ি: সিবিআই (CBI) তদন্তর দাবি থেকে সরে এসে ইতিমধ্যে বয়ান বদল করেছেন নির্যাতিতার বাবা। পুলিশি(West Bengal Police) তদন্তের উপর আস্থা প্রকাশ করে তাঁর ভিডিয়ো বার্তাও প্রকাশ্যে এসেছে। এমতাবস্থায়, ময়নাগুড়ি কাণ্ডে (Maynaguri Physical Assault) এবার ফের দেখা গেল নতুন মোড়। আরও একধাপ এগিয়ে পুলিশি তদন্তের অগ্রগতি জানতে বৃহস্পতিবার দুপুরে তৃণমূলের ময়নাগুড়ি ব্লক সভাপতি তথা ময়নাগুড়ি পৌরসভা ভাইস চেয়ারম্যান মনোজ রায় ও ময়নাগুড়ি পৌরসভার কাউন্সিলর ঝুলন সান্যালের হাত ধরে ময়নাগুড়ি থানায় যান মৃত নাবালিকার বাবা ঝরিয়া রায়। এই ঘটনায় ফের নতুন করে বিতর্ক ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
এই প্রসঙ্গে নির্যাতিতার বাবা বলেন, “আমার মেয়ে বলেছিল দোষীদের যাতে ফাঁসি হয়। তাই আমি আজকে তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে মনোজ রায় এবং ঝুলন সান্যালের সঙ্গে থানায় এসেছিলাম। আমার পুলিশের ওপর আস্থা আছে তা আরও একবার থানায় জানিয়ে গেলাম।” অপর দিকে মনোজ রায় বলেন, “মেয়েটির বাবা আমার কাছে এসেছিল। তাই আমি শুধু তৃণমূল নেতা নই, একজন নাগরিক হিসেবে থানায় নিয়ে যাই। তাঁর বাবা যেমন চাইছে অভিযুক্তদের ফাঁসি হোক, তেমন আমিও তাই চাই।” এদিকে রাতারাতি মৃতার বাবার দাবি বদলে আগেই বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, শাসক দলের চাপে সুর বদলাতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। এদিনের ঘটনা ফের নতুন করে সেই দাবিকে মান্যতা দিল বলে দাবি বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামীর।
প্রসঙ্গত, ময়নাগুড়ি কাণ্ডে নির্যাতিতা পরিবারের সাথে দেখা করতে আসতে পারেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, একথা শোনা যাচ্ছিল বিগত কয়েক দিন ধরে। কিন্তু শুভেন্দু আগমনে যাতে নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা আর কোনও ‘বেলাগম মন্তব্য’ না করেন তাই আগে থেকে ‘ড্যামেজ কন্ট্রোলে’ নামল শাসক শিবির, এমনই মত বিরোধী শিবিরের একটা বড় অংশের। প্রসঙ্গত, ২৮ ফেব্রুয়ারি ঘটনার দিন নাবালিকা বাড়িতে একাই ছিল। সেই সুযোগে বাড়িতে ঢুকে তাঁর উপর পাশবিক নির্যাতন চালায় এক যুবক। তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে নির্যাতিতার পরিবার। কিন্তু অভিযোগ, ওই যুবকের দাদা এলাকার প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার অনুগামী। তাঁর মদতেই আগাম জামিন পেয়ে যায় মূল অভিযুক্ত। এরপর গত ১৩ এপ্রিল নাবালিকার বাড়িতে কয়েকজন গিয়ে শাসিয়ে আসে বলে অভিযোগ। অভিযোগ প্রত্যাহারের পর প্রাণে মারারও হুমকি দেওয়া হয়। তারপরই ভয়ে গায়ে আগুন লাগিয়ে ১৪ এপ্রিল আত্মহত্যার চেষ্টা করে নির্যাতিতা। গত সোমবার ভোরে মৃত্যু হয় তার।
আরও পড়ুন- কেন পার্সোনাল লোনের থেকে বেশি সুবিধা পাওয়া যায় গোল্ড লোনে? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা