দেগঙ্গা: একই বাইকে তিন ভাই। মাঝরাস্তায় বাম্পারে টাল সামলাতে না পেরে উল্টে গেল বাইক। তাতেই ঘটল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। বাসের চাকায় পিষে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হল এক কিশোরের। হাসপাতালে নিয়ে গেলেও বাঁচানো যায়নি আরও এক যুবককে। চাঞ্চল্যকর ঘটনা দেগঙ্গার হাড়োয়া রোড রেলগেটের কাছে বেড়াচাঁপা হাড়োয়া রোডের উপরে। ঘটনার পর বেশ কিছুক্ষণ এলাকায় পথ অবরোধও করে পুলিশ। যানজটও তৈরি হয়। শেষে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, কিশোর আবু হাসান ও দুই যুবক বেল্লাল মোল্লা ও ওমর ফারুক সরদার বাইকে করে হাড়োয়া রোড ধরে হামাদামার দিকে যাচ্ছিল। তখনই রাস্তায় থাকা একটি বাম্পারে টাল সামলাতে না পেরে রাস্তার ডানদিকে বাইকে নিয়ে ছিটকে পড়ে। এদিক সেই সময় বেড়াচাঁপার দিকে দ্রুত গতিতে ছুটে যাচ্ছিল ডিএন ২৮ বাস। তার তলাতেই পড়ে যায় আবু হাসান, বেল্লাল মোল্লা। চোট পান ফারুকও। তড়িঘড়ি তাঁদের উদ্ধার করে হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে আবু ও বেল্লালকে বাঁচানো যায়নি। তবে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ফারুখকে।
প্রসঙ্গত, হাড়োয়া রোডে জল প্রকল্পের পাইপ লাইনের কাজ হচ্ছে। খোঁড়াখুঁড়িও হয়েছে রাস্তার ধারে। বৃষ্টিতে পড়ে থাকা মাটি কাদা হয়ে যেতেই রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে গিয়েছে। তাতেই বিপত্তি হয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দুই ভাইয়ের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বারাসাত জেলা হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। যদিও এখনও পর্যন্ত ঘাতক বাসটিকে ধরতে পারেনি পুলিশ।