দক্ষিণেশ্বর: রাস্তাঘাটে ট্রেনে-বাসে চলাচল করার সময় নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন। ট্রেনের কামরায় কিংবা বাসের ভিতরে বিভিন্ন ধরনের পোস্টার সাঁটানো। সে একেবারে রকমারি বিজ্ঞাপন। আইনের তোয়াক্কা না করেই ইচ্ছেমতো সাঁটানো হয় বিজ্ঞাপন। থাকে চাকরির সুবর্ণ সুযোগ বা এই গোছের বিভিন্ন পোস্টারও। নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন কখনও না কখনও। এবার চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে লোক ঠকানোর কারবারের পর্দাফাঁস করল পুলিশ। দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াক সংলগ্ন এলাকায় একেবারে কর্পোরেট কায়দায় অফিস ঘর খুলে চলত চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার কারবার।
দক্ষিণেশ্বর থানার পুলিশ আচমকা হানা দেয় ওই অফিসে। আর সেই অভিযানেই গ্রেফতার করা হয় চার জনকে। পুলিশ সূত্র খবর, বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি অফিসে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে সাধারণ মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলা হত। ইতিমধ্যেই প্রায় লাখ লাখ টাকার প্রতারণার অভিযোগ উঠে এসেছে বলে জানা যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি দক্ষিণেশ্বর থানায় বিভিন্ন প্রতারিত ব্যক্তি অভিযোগ জানিয়েছিলেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই দক্ষিণেশ্বর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সিদ্ধার্থ মিশ্রার নেতৃত্বে একটি টিম শুক্রবার অভিযান চালায় দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াক সংলগ্ন এলাকায়।
তদন্ত শুরু করতেই গোপন সূত্র মারফত পুলিশের খবর পায় ওই দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াকের কাছে ওই সন্দেহজনক অফিস ঘরের। সেই সূত্র ধরেই আজ হানা দেয় পুলিশ। তাতেই একেবারে প্রতারণা চক্রের রহস্যভেদ। ঘটনাস্থল থেকে হাতেনাতে পাকড়াও করা হয় চারজনকে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ল্যাপটপ, মোবাইল-সহ অন্যান্য বেশ কিছু নথিপত্র। ধৃতদের জেরা করে এই ঘটনার সঙ্গে আরও কারা কার জড়িত রয়েছে, সেই উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছে পুলিশ। আন্তঃরাজ্য প্রতারণা চক্রের কোনও যোগ রয়েছে কি না, সেটিও তদন্তের আওতায় রাখা হচ্ছে। জানা যাচ্ছে, আগামিকাল অভিযুক্তদের ব্যারাকপুর আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আবেদন জানাবে পুলিশ।