Sandeshkhali: পাট্টার নামে ‘কাটমানি’ নেওয়া নেতা এখন বাড়ি বাড়ি ঘুরছেন? ফুঁসছে সন্দেশখালি

সুমন মহাপাত্র | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Feb 18, 2024 | 5:47 PM

Sandeshkhali: এক সময় সিপিএম করতেন স্থানীয় বাসিন্দা তপন দাস। বলেন, মারধরের পর এখন বাধ্য হয়ে তৃণমূল করেন। তাঁর কথায়, "খাস জমির পাট্টা দেওয়া হবে বলে ৩০ টাকা করে তুলেছিলেন গণেশ। গ্রামের প্রায় সকলের থেকে টাকা তোলেন। অথচ ২ বছর হয়ে গেল কিছুই হল না। ১০০ দিনের টাকা ঢুকলেও টাকা দিতে হয় এই গণেশকে। আমার একবার ৩ হাজার টাকা ঢুকল। ওনাকে দিয়ে আসতে হল। না দিলে তো আবার বাড়িতে এসে শাসাবে।"

Sandeshkhali: পাট্টার নামে কাটমানি নেওয়া নেতা এখন বাড়ি বাড়ি ঘুরছেন? ফুঁসছে সন্দেশখালি
উপপ্রধান গণেশ হালদার।
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

সন্দেশখালি: সন্দেশখালির সব তৃণমূল নেতাই ‘বাঘ’, এবার অভিযোগ তৃণমূলের উপপ্রধান গণেশ হালদারের বিরুদ্ধে। পাট্টার জন্য গ্রামবাসীদের কাছ থেকে তোলাবাজির অভিযোগ সন্দেশখালি গ্রামপঞ্চায়েতের গণেশ হালদারের নামে। অথচ এই গণেশই এখন সন্দেশখালিতে ঘুরছেন লিজের টাকা যাঁরা পাননি, তাঁদের তালিকা তৈরি করতে। গ্রামের প্রায় প্রত্যেকের কাছ থেকে পাট্টার নামে গণেশ টাকা তুলেছেন বলে অভিযোগ। কিন্তু পাট্টাও মেলেনি, পাননি টাকাও। ১০০ দিনের টাকার ৯০ শতাংশই দিতে হয় গণেশকে, এমনও অভিযোগ এলাকার লোকজনের। জমি দখল করে ভেড়ি তৈরির অভিযোগও উঠেছে গণেশের বিরুদ্ধে।

এক সময় সিপিএম করতেন স্থানীয় বাসিন্দা তপন দাস। বলেন, মারধরের পর এখন বাধ্য হয়ে তৃণমূল করেন। তাঁর কথায়, “খাস জমির পাট্টা দেওয়া হবে বলে ৩০ টাকা করে তুলেছিলেন গণেশ। গ্রামের প্রায় সকলের থেকে টাকা তোলেন। অথচ ২ বছর হয়ে গেল কিছুই হল না। ১০০ দিনের টাকা ঢুকলেও টাকা দিতে হয় এই গণেশকে। আমার একবার ৩ হাজার টাকা ঢুকল। ওনাকে দিয়ে আসতে হল। না দিলে তো আবার বাড়িতে এসে শাসাবে।”

চিত্ত বিশ্বাস, উত্তরা নস্করদেরও একই বক্তব্য, জবকার্ডের টাকা ঢুকলেই গণেশ বা তাঁর লোকজন এসে টাকা নিয়ে চলে যেতেন। জমির পাট্টা দেবেন বলে টাকাও নিতেন। চিত্ত বিশ্বাস বলেন, “আমার থেকে ৩০০ টাকা নিয়েছে গণেশ পাট্টা দেবে বলে। জমিও পাইনি, পাট্টাও পাইনি। জব কার্ডের একবার ৩ হাজার ঢুকল। আড়াই হাজার রেখে দিয়ে আমাকে ৫০০ টাকা দিল। বলল পরেরবার টাকা ঢুকলে দেব। সেই টাকা ঢোকেওনি, আমার যেটা সেটাও পাইনি।”

এ তো গেল জবকার্ড, পাট্টার নামে ‘কাটমানি’ নেওয়া। গণেশ আবার ৩১ বিঘা জমিও দখল করে শাহজাহান-বাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছেন বলে বিস্ফোরক অভিযোগ গ্রামবাসীর। তপন দাস বলেন, এখানে ফিশারিটা করা হয় লিজ নিয়ে। ফিশারিতে ৩১ বিঘা খাস জমি আছে। তা সন্দেশখালির ভোম্বলকে দেওয়া হয়েছে। সেই খাস জমির টাকা শেখ শাহজাহানের হাতে পৌঁছে দিতেন আমাদের গণেশবাবু। উনি শিবুকে দিতেন। শিবু দিত শাহজাহানকে। ওনার একটাই কথা, শাহজাহান সবকিছু করবেন।”

মুখ ছুটেছে গ্রামবাসীর। কেউ কেউ বলছেন গণেশ নাকি ‘কাটমানি কিং’। সেই গণেশই বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন প্রতারণার খতিয়ান তুলতে! এ যেন রক্ষকই ভক্ষক, বলছেন এলাকার লোকেরা। রবিবার তো ভোলাখালির মিটিংয়েও গিয়েছেন তিনি। যদিও এত অভিযোগ মুহূর্তে উড়িয়ে দিলেন গণেশ হালদার। তাঁর দাবি, “পাট্টার জন্য টাকা নেওয়ার প্রশ্নই নেই। সেটা তো সরাসরি অফিস থেকে হয়। টাকাও লাগে না। তাহলে টাকা দেবে কেন? জবকার্ডের টাকাও নেওয়া হয়নি। ভুল কথা বলছেন লোকেরা। এখানে কাজের সবটা সুপারভাইজারই দেখেন।”

Next Article