ব্যারাকপুর: ফের তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ (TMC Inner Clash) উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দলে (Jagaddal)। সূত্রের খবর, এক্সাইড ব্যাটারি ফ্যাক্টরির দখল কোন শিবিরের হাতে থাকবে, তা নিয়েই সংঘাত। আর সেই থেকেই প্রকাশ্যে স্থানীয় তৃণমূল নেতা পরিচিত সঞ্জয় সিং ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অভিমন্যু তিওয়ারির দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। সোমবার এক্সাইড ব্যাটারি ফ্যাক্টরির গেটের ঠিক উল্টোদিকে খোলা হয় এক্সাইড পার্মানেন্ট মজদুর মোর্চার অফিস। পোস্টারও লাগানো হয় সেখানে। পোস্টারে ছবি রয়েছে মমতা-অভিষেকদের। তবে কোথাও আইএনটিটিইউসির উল্লেখ ছিল না সেখানে। অভিযোগ, এদিন সেই এক্সাইড পার্মানেন্ট মজদুর মোর্টার অফিস খোলার পরই সেখানে তালা ঝুলিয়ে দেন কাউন্সিলর অভিমন্যু তিওয়ারি।
সঞ্জয় সিং জানাচ্ছেন, এক্সাইড ফ্যাক্টরিতে কর্মীদের আইএনটিটিইউসির সংগঠন ছাড়াও আরও একটি ইউনিয়ন রয়েছে। এক্সাইড পার্মানেন্ট মজদুর মোর্চা। এদিন সেই মোর্চার পার্টি অফিস খোলা হয়েছিল। তাঁর বক্তব্য, ‘হঠাৎ শুনলাম সাড়ে ১২টা নাগাদ ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অভিমন্যু তিওয়ারি এসে তালা মেরে দিয়েছেন। আমরা তো জোর করে এটি করিনি। এই ঘরটি একজনের ছিল, তিনি আমাদের পার্টি অফিস করার জন্য ঘরটি দিয়েছেন।’ পরে সঞ্জয় সিং সেখানে গিয়ে ওই তালা ভেঙে দেন। ঘটনাটি স্থানীয় থানার আইসিকে জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি। সঞ্জয় সিং বলছেন, ‘দুটিই তৃণমূল কংগ্রেসের ইউনিয়ন বলতে পারেন।’ তবে বিষয়টিকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব হিসেবে মানতে নারাজ তিনি। তাঁর বক্তব্য, এটি ইউনিয়নের সমস্যা।
এদিকে সোমবারের এই ঘটনা প্রসঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল তৃণমূল কাউন্সিল অভিমন্যু তিওয়ারির সঙ্গেও। তাঁর সাফ বক্তব্য, ‘ওটি কোনও তৃণমূলের পার্টি অফিস নয়। আজ হঠাৎ করে স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতী, যাঁরা নিজেদের তৃণমূল নেতা ভাবে, তারা সেখানে গিয়ে ঝান্ডা লাগিয়ে দিয়েছে এবং সেটিকে দখল করার চেষ্টা করছে।’ আগে সেখানে একজন চিকিৎসকের চেম্বার ছিল। হঠাৎ করে সেই জায়গাটিকে দখল করে নেওয়া হয়েছে বলে দাবি অভিমন্যু তিওয়ারির।