Minor Physical Harassment: ‘৭ মিনিটে’ ধর্ষণ করে পালানো যায়? অভিযুক্ত যুক্তি সাজালেও রক্ষে হল না আদালতে

Dipankar Das | Edited By: Soumya Saha

May 06, 2023 | 7:16 PM

Physical Harassment: অভিযুক্ত ওই যুবক কুরিয়ার বয়ের কাজ করত। ২০১৮ সালের ৩ মে নিউটাউনের এক হাইরাইজ় বিল্ডিংয়ে ডেলিভারি করতে গিয়েছিল সে। সেই সময়েই ন'বছরের এক নাবালিকার কাছে ডেলিভারির ঠিকানা জানতে চেয়েছিল সে।

Minor Physical Harassment: ৭ মিনিটে ধর্ষণ করে পালানো যায়? অভিযুক্ত যুক্তি সাজালেও রক্ষে হল না আদালতে
প্রতীকী ছবি

Follow Us

বারাসত: নিউটাউনে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের (Minor Girl Physical Harassment) অভিযোগে অভিযুক্ত যুবককে দোষী সাব্যস্ত করল বারাসত আদালত (Barasat Court)। আগামী সোমবার অভিযুক্তর সাজা ঘোষণা করবে আদালত। ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৮ সালের মে মাসে। ঘটনার পাঁচ বছর পেরিয়ে অবশেষে দোষী সাব্যস্ত হল অভিযুক্ত যুবক। জানা যাচ্ছে, অভিযুক্ত ওই যুবক কুরিয়ার বয়ের কাজ করত। ২০১৮ সালের ৩ মে নিউটাউনের এক হাইরাইজ় বিল্ডিংয়ে ডেলিভারি করতে গিয়েছিল সে। সেই সময়েই ন’বছরের এক নাবালিকার কাছে ডেলিভারির ঠিকানা জানতে চেয়েছিল সে। নাবালিকা ঠিকানা দেখানোর জন্য ভিতরে ঢুকতেই ওই কুরিয়ার বয় নাবালিকাকে টেনে লিফটের ভিতরে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ ওঠে।

এরপর নাবালিকাকে ওই বহুতল আবাসনের ছাদে নিয়ে যায়। তারপর ছাদ থেকে নীচের দিকে দেখিয়ে নাবালিকাকে ভয় দেখিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ওঠে। পরে গোটা ঘটনার কথা নাবালিকা তার দিদাকে জানায় এবং পরিবারের তরফে ওই কুরিয়ার বয়ের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানানো হয়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করে নিউটাউন থানার পুলিশ এবং গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত যুবককে। দীর্ঘদিন ধরে আদালতে মামলা চলার পর শনিবার অভিযুক্ত যুবককে দোষী সাব্যস্ত করে বারাসত আদালত।

অপরাধ থেকে বাঁচার জন্য অভিযুক্ত যুবকের আইনজীবী আদালতে ওই বিল্ডিংয়ের রেজিস্টার বই অর্থাৎ, কে কখন ঢুকছে, কে কখন বেরোচ্ছে, সেই তালিকা পেশ করে। ওই তালিকায় অভিযুক্ত ভুল সময় লিখেছিল। রেজিস্টার বইতে দেখা যাচ্ছে, অভিযুক্ত যুবক বিকেল ৪টে ১০ মিনিটে বিল্ডিংয়ে ঢুকেছিল এবং ৪টে ১৭ মিনিটে বেরিয়ে গিয়েছিল। আর এই তত্ত্বকেই ইস্যু করে অভিযুক্তর আইনজীবী আদালতে প্রশ্ন করেন, সাত মিনিটের মধ্যে কীভাবে এত বড় অপরাধ করে বেরিয়ে যাওয়া সম্ভব? যদিও আদালতে জমা হওয়া সিসিটিভি ফুটেজ ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স প্রমাণে দেখা যাচ্ছে, ওই কুরিয়ার বয় রেজিস্টার বইয়ে উল্লেখ করা সময়ের অনেক পরে আবাসন থেকে বেরিয়েছিল।

দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারক অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেন। আর এদিকে অভিযুক্ত দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরই কান্নায় ভেঙে পড়েন তার মা। যদিও অভিযুক্তের আইনজীবীর দাবি, ইলেকট্রনিক্স তথ্যের ভিত্তিতে কথা বলা হচ্ছে তা মডিফাই করা যায়। সেক্ষেত্রে সাজা ঘোষণার পর তারা উচ্চ আদালতে যাবেন বলেও জানালেন তিনি ।

Next Article