বারাসত: বিয়ের তিন বছরের মধ্যেই মেয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। তারপর নাতির ভবিষ্যতের দোহাই দিয়ে শ্বশুরের ঘরেই থাকতে শুরু করেছিলেন জামাই। কিন্তু শ্বশুরের অজান্তে তাঁর নামে লোন নিয়ে গায়েব সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার জামাই। শেষমেশ শ্বশুরের অভিযোগে জামাইকে গ্রেফতার করল সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম উজ্জ্বল কুমার।
উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার বাসিন্দ উজ্জ্বল কুমার দাস ২০১৮ সালে বিয়ে করেছিল বনগাঁ খয়রামারির বাসিন্দা লালিত মোহন মজুমদারের মেয়েকে। ২০২১ সালে উজ্জলের স্ত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। তারপর সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবে উজ্জ্বল শ্বশুরবাড়িতে থাকতে শুরু করেন।
নাতির কথা ভেবে আপত্তি করেননি শশুর বাড়ির সদস্যরা। অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ি থাকাকালীন ২০২২ সালে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার জামাই শ্বশুরের সমস্ত তথ্য ব্যবহার করে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা লোন নিয়ে বেপাত্তা হয়ে যান। পরবর্তীতে চলতি বছরের জুন মাসের ২৩ তারিখে আদালত মারফত অভিযোগ পায় বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানা। অভিযোগ পেয়ে গতকাল কলকাতা ইকো স্পেস এলাকা থেকে অভিযুক্ত জামাই উজ্জ্বলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতকে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করা হয় ।