ব্যারাকপুর: দিনের আলোয় ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয় বেলঘড়িয়ায়। কোনও ক্রমে প্রাণে বাঁচেন অজয় মণ্ডল। ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও আতঙ্ক কাটছে না। রবিবার সকালেও ব্যবসায়ীর কাছে বিহার থেকে এল ফোন। ওপার থেকে শোনা গেল, ‘আমি সুবোধ সিং, কোনও ভয় নেই।’ পরপর যা ঘটছে, তা কোনও সিনেমার থেকে কম নয়। শনিবার যখন থানায় বসেছিলেন, তখনও তাঁর কাছে সুবোধের ফোন এসেছিল। ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কে রয়েছে গোটা পরিবার। ব্যারাকপুর ছেড়ে যাওয়ার কথাও ভাবছেন তাঁরা।
রবিবার TV9 বাংলার ক্যামেরায় সামনেই বিহার থেকে ফোন আসে সুবোধ সিং-এর। সুবোধ সিং বলেন, ‘আমি আছি আপনার পাশে। কোনও ভয় নেই। আপনাকে বাঁচিয়ে দেওয়া হয়েছে,মারা হয়নি। কথা হবে আপনার সঙ্গে।’ বিহার থেকে আশ্বাস কুখ্যাত সুবোধ সিং-এর। পুলিশের কাছে যেতে নিষেধ করা হয়েছে অজয় মণ্ডলকে। ফোনের ওপার থেকে বলা হয়, ‘আপনাকে খুন করার হলে শোরুমে ঢুকে ৫০ রাউন্ড গুলি চালাতাম।’
তিনি জানিয়েছেন এই সুবোধ সিং আসলে কুখ্যাত দুষ্কৃতী। ব্যারাকপুরের একাধিক ঘটনার সঙ্গেও সুবোধের যোগ আছে বলে দাবি করেন তিনি।
শনিবারও এসেছিল সুবোধ সিং-এর ফোন। গুলি চলার কিছুক্ষণ পর, যখন ওই ব্যবসায়ী থানায় বসেছিলে, তখন তাঁকে ফোন করা হয়েছিল বলে দাবি অজয় মণ্ডলের। তাঁকে ফোনে বলা হয়, ‘তু বাচ গ্যায়ে রে… তু বাচ গ্যায়া।’ পাশে তখন বসে ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার। তাঁকে ফোনটা দিয়ে দেন ওই ব্যবসায়ী। সব শুনে পুলিশ তাঁকে নিরাপত্তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।
TV9 বাংলার মুখোমুখি হয়ে ওই ব্যবসায়ী জানান, ব্যবসা করতে গেলে টাকা দিতে হয়। ২০০১ সাল থেকে ব্যবসা করেন তিনি। ২০০৩ সাল থেকে দিতে হয় তোলা। এটাই টিটাগড়ের একটা ট্রেন্ড বলে দাবি করেন তিনি। কাকে দিতে হয় তোলা? ব্যবসায়ী জানান, শাহজাদাকে দিতে হয় তোলা, আরও ২-৪ জন আছেন। তোলা না দিলেই বারবার এভাবে শিকার হতে হয় বলে দাবি করেন অজয় মণ্ডল। তিনি জানিয়েছেন, এর আগেও কখনও বাড়িতে, কখনও দোকানে বোমা মেরে হুমকি দেওয়া হয়।