উত্তর ২৪ পরগনা: ভাঙড়ে রক্তমাখা ট্রলিব্যাগের ভিতর থেকে প্রৌঢ়ের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায়, দেহটি বেলঘড়িয়ার নন্দন নগরের সুবোধ কুমার সরকারের। তিন মাস ধরে এখানেই ভাড়া ছিলেন সুবোধ। ওড়িশায় তাঁর প্রিন্টিং প্রেসে ব্যবসা ছিল। সেই ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে সমস্ত কিছু বিক্রি করে চলে আসেন এখানে। ছোট এক নাতনির বয়সী মেয়ের সঙ্গেই থাকতেন সুবোধ। তবে প্রতিবেশীরা হতভম্ব এমন ঘটনা শুনে। তবে পুলিশ সূত্রের খবর, ওড়িশার ভুবনেশ্বরে ভৌমানগরের বাড়ি বিক্রি করে এখানে চলে আসেন। তারপর বাড়ি বিক্রির মোটা টাকা বেসরকারি ব্যাঙ্কে জমা রেখেছিলেন। সেই সুবাদে ওই ব্যাঙ্কেরই কর্মী সৌম্যকান্তি জানার সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। খুনের অভিযোগে তাঁকেই আপাতত গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, কামারহাটি পৌরসভা ২৬ নম্বর ওয়ার্ড ওল্ড নিমতা রোড এলাকায় একটি বাড়িতে বন্ধু পল্লব মণ্ডলের সঙ্গে থাকতেন সৌমকান্তি। গত নভেম্বর মাসে ওল্ড নিমতা রোডের এই বাড়িতেই বন্ধুর সঙ্গে এসেছিল সৌম্য। সামনের মাসেই এখান থেকে ভাড়া উঠে যাওয়ার কথা ছিল সৌম্যকান্তি জানার।
সেই সৌম্যকান্তিই খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তা জানা মাত্রই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। সৌমক্রান্তি ওল্ড নিমতা রোডের বাড়িতে যে বন্ধুর সঙ্গে থাকতেন, সেই বন্ধু পল্লব মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে নিয়ে গিয়েছে টেকনো সিটি থানার পুলিশ। সৌম্যকান্তি যে ঘরটায় ভাড়া থাকতেন, তদন্তের স্বার্থে সেই ঘরটিও তালা মেরে দিয়েছে পুলিশ।
শনিবার সকালে ভাঙড়ে কারিগরী ভবনের পিছনে খালের মধ্যে থেকে একটি রক্তমাখা ট্রলিব্যাগ উদ্ধার হয়। প্রথমে পোলেরহাট থানার পুলিশ ট্রলিব্যাগটি উদ্ধার করে। তার ভিতর থেকে উদ্ধার হয় দেহ।