সন্দেশখালি: সন্দেশখালিতে এনআইএ কি সময়ের অপেক্ষা? এখন সে প্রশ্নই উঠছে। মনে করা হচ্ছে বোমা-অস্ত্র উদ্ধারের পর্ব শেষ হলেই এনআইএ প্রাথমিক তদন্ত করে এফআইআর করতে পারে। কারণ, যে কোনও বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় এনআইএ তদন্ত করতে পারে। কারণ, সন্দেশখালির সরবেড়িয়ায় শুক্রবার প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে বিদেশি অস্ত্রও। সেখান থেকে জাতীয় নিরাপত্তার বিষয় উঠে আসছে। তাই এই ক্ষেত্রে এনআইএ তদন্ত শুরু হওয়া সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করছেন অনেকে।
সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’ শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ হাফিজুল খায়ের আত্মীয় আবু তালেব মোল্লা। সন্দেশখালির সরবেড়িয়ায় তিনদিক ঘেরা ভেড়ির মাঝে পাকাবাড়ি আবু তালেব মোল্লার। সেই বাড়িতেই এদিন বিপুল অস্ত্রের খোঁজ মেলে বলে খবর।
সূত্রের খবর, বিদেশি নাইন এমএম, দেশি ৭ এমএম, বোমা, কার্তুজ, দেশি-বিদেশি মিলিয়ে উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের সংখ্যা অন্তত ১৫। আর বিদেশি অস্ত্র মানেই তার সঙ্গে কোনও অস্ত্র পাচারকারী চক্রের যোগ থাকতে পারে। অন্যদিকে প্রচুর বিস্ফোরকও উদ্ধার হয়েছে, প্রাথমিকভাবে মনে যা মনে করা হচ্ছে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন। সে কারণেই এনএসজি বম্ব ডিসপোজাল ও ডিটেকশন স্কোয়াড ব্যবহার করা হচ্ছে। তাঁরা রিমোটচালিত রোবট ব্যবহার করছে তল্লাশির জন্য। মাইন ডিটেক্টর নিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে এনএসজি। স্বভাবতই এমন বিপুল অস্ত্রসম্ভার কোনও গ্রামে মজুত থাকা মানে সার্বিকভাবে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তাই এনআইএর সম্ভাবনার কথাও উঠে আসছে।