Shyamnagar Chaos: শ্যামনগরের ব্যাটারি কারখানায় ব্যাপক উত্তেজনা, পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধস্তি শ্রমিকদের
Chaos in Battery Factory: কয়েক সপ্তাহে আগে ব্যাটারি কারখানার এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছিল। সেই শ্রমিকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ এবং পরিবারের একজনের চাকরির দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন কারখানার শ্রমিকরা।

শ্যামনগর: শ্রমিক অসন্তোষকে (Workers Agitation) কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা শ্যামনগরে (Shyamnagar)। শ্রমিকদের বিক্ষোভের জেরে উৎপাদন ব্যাহত শ্যামনগরের এক ব্যাটারি কারখানায় (Exide Battery Factory)। পুলিশের সঙ্গে কারখানার শ্রমিকদের ব্য়াপক ধ্বস্তাধস্তির দৃশ্যও ধরা পড়ে এদিন। জানা যাচ্ছে, ঘটনার সূত্রপাত হয় সপ্তাহখানেক আগে। কয়েক সপ্তাহে আগে ব্যাটারি কারখানার এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছিল। সেই শ্রমিকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ এবং পরিবারের একজনের চাকরির দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন কারখানার শ্রমিকরা। এর পাশাপাশি শ্রমিকদের বকেয়া টাকা-সহ আরও কিছু দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলনে নামেন এক্সাইড পার্মানেন্ট মোর্চা ইউনিয়নের সমর্থকরা।
শ্রমিকদের এই বিক্ষোভ ঘিরে ওই ব্যাটারি কারখানা চত্বরে ব্যাপক উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়। সেই উত্তেজনা সামাল দিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয় র্যাফ। কিন্তু পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি আরও তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশ কেন কারখানার ভিতরে ঢুকে গেল, তা নিয়ে আন্দোলনের সুর আরও জোরালো করেন বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। পুলিশের সঙ্গে বচসা ও ধ্বস্তাধস্তির পরিস্থিতিও তৈরি হয় কারখানার শ্রমিকদের। পরে অবশ্য পুলিশ দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে সপ্তাহের প্রথম দিনের এই বিক্ষোভের জেরে ব্যাহত হয় কারখানার কাজ। শ্রমিক অসন্তোষে বিঘ্নিত হয় উৎপাদন। কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আগে থেকেই অসন্তোষ জমাট বাঁধছিল শ্রমিকদের মধ্যে, তার মধ্যে পুলিশ কারখানার ভিতরে ঢুকে আসায় সেই অসন্তোষ আরও কয়েক গুণ বেড়ে যায়।
শ্রমিকদের এই অসন্তোষ নিয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন এক্সাইড পার্মানেন্ট মোর্চা ইউনিয়নের সভাপতি সঞ্জয় সিং। তিনি বলেন, ‘এই ঝামেলা আমাদের অনেকদিন ধরে চলছে। প্রায় তিন-চার মাস ধরে চলছে এই অসন্তোষ। ম্যানেজমেন্ট বিষয়টিতে আমল দিচ্ছে না। প্রশাসনের কাছেও অভিযোগ জানানো হয়েছিল। তারপরও কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না। আর এসবের মধ্যে একজন শ্রমিক আত্মঘাতী হল। আমাদের দাবি ছিল, ওই শ্রমিকের স্ত্রীকে আপাতত একটা চাকরি দেওয়া হোক। কিন্তু সেটাও করছে না।’ যদিও এই নিয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি।