বারাসত: দলের অস্বস্তি বাড়ালেন তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। দত্তপুকুর বাজি বিস্ফোরণ-কাণ্ডে সরকারকে কাঠগড়ায় তুললেন তিনি। একই সঙ্গে ক্ষোভ উগরে দিলেন রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধেও। এত বড় বিস্ফোরণের ঘটনার দায় সরকার এড়াতে পারে না বলেও স্পষ্ট জানালেন বিধায়ক।
মঙ্গলবার রাতে নিজের বিধানসভা কেন্দ্র বারাসতে শিক্ষক দিবসের এক অনুষ্ঠানে হাজির হন স্থানীয় বিধায়ক চিরঞ্জিত। পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের চিকিৎসক কাউন্সিলর সুমিত সাহার উদ্যোগে হওয়া ওই কর্মসূচিতে সমাজের গুণীজনদের সংবর্ধিত করা হয় এ দিন। সেখান থেকে একের পর এক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে মুখ খোলেন তিনি।
বারাসত বিস্ফোরণ-কাণ্ড নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তৃণমূল বিধায়ক বলেন, “ব্যর্থতা যদি হয়, সেটা সকলের। একটা অংশকে দায়ী করে লাভ নেই। সবাইকেই এর দায় নিতে হবে। যাদের কাঁধে এই বেআইনি কারবার দেখার গুরু দায়িত্ব ছিল তাঁদের সকলের। আমি মনে করি সরকার, প্রশাসন সকলেই দায় নিতে হবে।” তৃণমূল বিধায়ক মনে করেছেন, সাধারণ মানুষেরও ব্যর্থতা রয়েছে এখানে। যে কারণেই বিস্ফোরণ হয়ে থাকুক,সেটা সকলকেই ভাগ করে নিতে হবে। কাউকে একা দোষারোপ করে চলবে না।
বিস্ফোরণের ঘটনায় এর আগে পুলিশের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট হতে দেখা গিয়েছিল তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা তথা সাংসদ সৌগত রায় ও ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং-কে। দু’জনই পুলিশকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন। গতকাল চিরঞ্জিতের গলাতেও শোনা গেল সেই একই সুর। তৃণমূল নেতা বললেন, যে সময়ে সাধারণ মানুষ পুলিশকে গোটা বিষয় জানিয়েছিল তখনই আধিকারিকদের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ ছিল। কেন তাঁরা সেই সময় দায়িত্ব পালন করেননি?
উল্লেখ্য, সম্প্রতি দত্তপুকুরে বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের জেরে প্রাণ হারান ৯ জন। মৃত্যু হয় বাজি কারখানার মালিকের ছেলেও। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে বিভিন্ন জায়গায় ছিটকে গিয়ে পড়ে কারোর কাটা হাত-পা ইত্যাদি-ইত্যাদি। এই ঘটনার পরই তোলপাড় হয় রাজ্য-রাজনীতি। কারণ ঠিক কয়েক মাস আগে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সেই সময়ও প্রাণ হারান অনেকে।