উত্তর ২৪ পরগনা: ফের রেলবস্তি উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা দক্ষিণেশ্বর মন্দির এলাকায়। আরপিএফ-এর সঙ্গে বচসা বস্তিবাসীর। ফের রেল বস্তি উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা দক্ষিণেশ্বর মন্দির সংলগ্ন এলাকায়,রেলের আরপিএফ আধিকারিকরা। মঙ্গলবার সকালে রেলবস্তি এলাকায় রেল পুলিশ কর্মীরা জড়ো হন। আগে থেকেই সেই খবর বস্তিবাসীদের কাছে ছিল। সকাল থেকে নাওয়া খাওয়া বন্ধ করে, তাঁরাও জড়ো হয়েছিলেন বস্তির ঢোকার মুখের রাস্তায়। এলাকায় ঢুকতেই বস্তিবাসীর বিক্ষোভের মুখে পড়েন রেলের আধিকারিকরা। বস্তিবাসীর সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে আরপিএফ আধিকারিকরাও। মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় কী করে বস্তি উচ্ছেদ করতে আসেন, এই নিয়েই বিক্ষোভ দেখান বস্তিবাসী। বস্তির বাসিন্দাদের বিক্ষোভের মুখে পিছু হঠেন রেলের আধিকারিকরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়।
কামারহাটি কাউন্সিলরের ওয়ার্ড অরিন্দম ভৌমিক বলেন, “একটা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর বিষয়। আগেই ডিআরএম-কে আমাদের সাংসদ সৌগত রায় ফোন করেছিলেন। আজকের উচ্ছেদের ব্যাপারটা পিছিয়ে দিতে। এখন মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে, রেল কর্তৃপক্ষের বাড়িতেও তো বাচ্চাদের পরীক্ষা চলছে। তাহলে কী ওঁরা বোঝেন না, এই কাজ বাচ্চাদের মানসিকতাকে কতটা বিপর্যস্ত করে তোলে! এই নিয়ে ষষ্ঠবার উচ্ছেদ অভিযান চালালেন ওঁরা।”
কান্নায় ভেঙে পড়েন বস্তিবাসী। রেলপুলিশের সামনেই রুখে দাঁড়ান তাঁরা। হাতজোড় করে অনুরোধ করতে থাকেন। তবে এদিন এক মহিলা পুলিশ কর্তাকে বস্তিবাসীদের সঙ্গে ভালভাবে কথা বলে বিষয়টি বোঝাতে দেখা যায়। এরপর ফিরত যান পুলিশকর্মীরাও।
এর আগে অক্টোবর মাসে আরও একবার উচ্ছেদ অভিযানে এসেছিলেন পুলিশ কর্তারা। পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করে যাতে তাঁদের তুলে দেওয়া না হয়, তার অনুরোধ করেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, দক্ষিণেশ্বর মন্দির সংলগ্ন রেলবস্তিতে প্রায় ৫০-৬০ বছর ধরে ৩৫০ টি পরিবার বসবাস করছে। তাঁদের একটাই দাবি, উচ্ছেদ করা হলে পুনর্বাসনের তো সবক্ষেত্রেই করা হয়, এক্ষেত্রে কেন হচ্ছে না? এই নিয়ে ষষ্ঠবার উচ্ছেদ অভিযানে এলেন রেল পুলিশ কর্তারা।