উত্তর ২৪ পরগনা: বেলঘড়িয়ায় এক বহুজাতিক ডেলিভারি সংস্থার কর্মীদের ওপর তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে দাদাগিরি অভিযোগ। ডেলিভারি সংস্থার কর্মীদের ব্যাপক মারধরের অভিযোগ ওঠে। তাতে মাথা ফাটে ৩ জনের। গুরুতর আরও ৩ জন ডেলিভারি কর্মী।
বেলঘড়িয়ায় এক বেসরকারি ডেলিভারি সংস্থার সঙ্গে বেলঘড়িয়া উন্নয়ন ক্লাবের সংঘর্ষ। আহত ৬ জন। তাঁদের মধ্যে ৩ জন গুরুতর। এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা। ঘটনাস্থলে বেলঘড়িয়া থানার পুলিশ। স্থানীয় ক্লাবের অভিযোগ, ওই ‘ডেলিভারি বয়’রা এলাকায় সামাজিক পরিবেশ নষ্ট করছে। যত্রতত্র বাইক ছড়িয়ে রাখায় এলাকার বাসিন্দাদের যাতায়াতের অসুবিধা হয়। এছাড়াও যেখানে সেখানে মলমূত্র ত্যাগ করে মহিলাদের উত্ত্যক্ত করে বলে অভিযোগ।
তৃণমূল নেতা সন্দীপ ঘোষ বলেন, “ওঁদের সঙ্গে আমাদের কোনও ব্যক্তিগত সমস্যা নেই। সাধারণ মানুষই প্রতিবাদ করেছে। তাই দুশোর বেশি লোক বেরিয়ে এসেছে। ওরা যেভাবে কাজ করছে, তা স্থানীয় বাসিন্দারা মেনে নিতে পারছে না। বাইক রেখে রাস্তা আটকে রাখে। রাতে বাড়ির গেটের সামনে বসে মদ খায়। পাশের বাড়িতে গিয়ে পায়খানা করে আসে। একটাও তো এলাকার ছেলে নয়। সব বাইরে থেকে এসেছে। কিন্তু কাজ করুক, স্থানীয় বাসিন্দাদের অসুবিধা করছে কেন?”
তবে ‘ডেলিভারি বয়’দের পাল্টা অভিযোগ, বাইক নিয়ে গোডাউন এলেই ক্লাবের ছেলেরা ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁদের ওপর গালিগালাজ এবং মারধর করেন। বাইক চালানো নিয়ে ঝামেলা করে। পুলিশের সামনেই তাঁদের বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। তাতে ৩ জনের মাথা ফেটে যায়। আরও অভিযোগ, বাকি আরও তিনজনকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করেন উন্নয়ন ক্লাবের ছেলের। বেলঘড়িয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি।